সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে ধাক্কা খাবে দেশ। এই ধাক্কা সামলাতে কী করা উচিত সরকারের? দেশ তথা বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নেওয়া শুরু করলেন বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিরোধী আসনে থেকে সরকারের কাজ নিয়ে পরামর্শ নেওয়ার এই উদ্যোগ বিশ্ব রাজনীতিতে বিরল। কংগ্রেস (Congress) বলছে, এই পরিস্থিতিতে উদ্ভুত সমস্যার সমাধানে সরকারের উচিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা। কিন্তু সরকার সেটা করছে না। তাই পথ দেখাতে হচ্ছে রাহুলকেই।
A conversation with Dr Raghuram Rajan, former RBI Governor, on dealing with the #Covid19 crisis. https://t.co/cdJtJ7ax0T
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 30, 2020
[আরও পড়ুন: তৃতীয় পর্বে বহু জেলায় মিলবে ছাড়! লকডাউন নিয়ে বড়সড় আপডেট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার প্রথম পর্বে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি কথা বললেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের (Raghuram Rajan) সঙ্গে। এই আলোচনায় রাহুলকে মূলত দেখা গেল সঞ্চালকের ভূমিকায়। অর্থনীতির অধোগতি তথা করোনার কামড় থেকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বাঁচাতে কী করা উচিৎ? তা নিয়ে রাজনের মত জানলেন রাহুল। দেশের গরিবদের সাহায্যের জন্য কী করা যেতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে রঘুরাম রাজন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে বললেন, দেশের গরিবদের সাহায্য করতে সরকারের মাত্র ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। যা ভারতের পক্ষে সম্ভব। এবং সরকারের সেটা করা উচিৎ। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নরের মতে, এভাবে দেশে চিরদিন লকডাউন চালানো যাবে না। সরকারকে বিকল্প ভাবতে হবে। ভারতের করোনা পরীক্ষার হার আমেরিকার ধারে কাছে নয়, এটা দ্রুত বাড়াতে হবে। রাজন মনে করছেন, এই লকডাউন কেটে যাওয়ার পর বিশ্বে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তাতে ভারতের কাছে সুযোগ আসবে উন্নতি করার।
[আরও পড়ুন: বিজেপির কলকাঠিতে গদি টলমল, প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে নালিশ উদ্ধবের]
রাজনের সঙ্গে পুরো আলোচনায় রাহুলকে কখন সরকারের সমালোচনা করতে শোনা যায়নি। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ পায়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে অন্ধ মোদি বিরোধিতা থেকে বেরিয়ে এখন অনেকটাই গঠনমূলক বিরোধী রাহুল। যখন সরকারের সমালোচনা প্রয়োজন তখন সমালোচনা করছেন। আবার সরকারের কিছু উদ্যোগের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। একাধিকবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারকে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এই গঠনমূলক বিরোধিতা হালফিলের রাজনীতিতে বিরল।