Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে রাহুলকে চাইছে না কংগ্রেস!

জল্পনা উসকে বোমা ফাটালেন চিদম্বরম।

Rahul Gandhi not yet PM candidate: P Chidambaram
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 23, 2018 9:27 am
  • Updated:October 23, 2018 9:27 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লাইন’ই কার্যত মেনে নিল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেওয়া হল, প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে এখনই কোনও আলোচনা হচ্ছে না। মোদি সরকারকে হঠানোই মূল উদ্দেশ্য। পরে জোটের সব শরিক একসঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করবে। মমতা যে শুরু থেকে বারবার বলে এসেছেন, বিরোধীদের একত্রিত হয়ে কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকার হঠানোই মূল লক্ষ্য এবং ভোটের পর ফেডারেল ফ্রন্ট আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে, সেই কথাতেই সায় দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার তামিল টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেছেন, কংগ্রেস আগামী লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে তুলে ধরছে না। পাশাপাশি, তিনি জানান, ২০১৯ সালে কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যূত করার লক্ষ্যে মহাজোট গড়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। ওই মহাজোটের নেতৃত্বেও থাকবে রাহুল গান্ধীর দল। কিন্তু কয়েকটি বিরোধী দল ছাড়া মহাজোটের আহ্বানে এখনও খুব একটা সাড়া পায়নি কংগ্রেস।

Advertisement

[অমৃতসর দুর্ঘটনা ঈশ্বরের ইচ্ছায়! ভিডিও বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি আয়োজকের]

Advertisement

প্রাক্তন ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রীর কথায়, “আমরা কখনওই বলিনি, আমরা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী চাই। দু’-একজন কংগ্রেস নেতা এই ধরনের আলোচনা করছিলেন, এআইসিসি আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই বিজেপি-কে সরাতে। তার বদলে একটি প্রোগ্রেসিভ সরকার আনতে চাই। যারা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না, কর সন্ত্রাস তৈরি করবে না, শিশু ও মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবে ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করবে।” তা হলে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? এই প্রশ্নের জবাবে চিদম্বরমের জবাব, “আমরা একটি জোট গড়তে চাইছি। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, ভোটের পরে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জোটসঙ্গীরা।”

বস্তুত, গত দু’দশকে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেডি, বিএসপি, আরজেডি-র মতো আঞ্চলিক দলগুলি যে জাতীয় দলগুলির ভোটে ভাগ বসিয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন চিদম্বরম। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেসের সঙ্গে যাতে হাত না মেলায়, তার জন্য আঞ্চলিক দলগুলিকে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। আসলে রাজনৈতিক আলোচকরা মনে করছেন, বর্তমান সময়ে যে আঞ্চলিক দলগুলিকে ছাড়া একা কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরানো সম্ভব হবে না, তা কংগ্রেস ভালভাবে বুঝতে পারছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিবাদ না করে বিজেপি-বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই এখন কংগ্রেসের কাছে বেশি মূল্য পাচ্ছে। মাঝে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নাম নিয়ে আলোচনা ও কথা তোলা শুরু করেন দলের নেতারা। এক সময় রাহুল নিজেও প্রধানমন্ত্রী পদে বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু পরে তিনি সেই মন্তব্য থেকে একশো আট ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বিষয়টির সিদ্ধান্ত জোটের উপরই ছেড়ে দেন।

এদিকে, বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে দেখে উদ্বিগ্ন বিজেপি বারবার প্রশ্ন তুলতে থাকে, বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? কাকে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরবেন? মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে জানিয়ে দেন, কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হঠানোই মূল লক্ষ্য। নির্বাচনের পর ফেডারেল ফ্রন্টের শরিকরাই আলোচনা করে ঠিক করবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। এদিন, চিদম্বরমের কথায় মমতার মন্তব্যের অনুরণন শোনা গিয়েছে। মমতা বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনে এগিয়েছেন। সেখানে সবাইকে পাশেও পেয়েছেন তিনি।

এদিকে, রাজনৈতিক আলোচকরা বলছেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য কংগ্রেস মহাজোটের দিকেই তাকিয়ে আছে। মূল লক্ষ্য, কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে হঠানো। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিতর্কে দাঁড়ি টানতে চায় কংগ্রেস। এই মুহূর্তে বুঝে-শুনে সাবধানে পা ফেলতে চায় হাই কমান্ড। তাই কংগ্রেসের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ নয় বরং মহাজোটের জন্য যাবতীয় কাজে মন দিতে চাইছে হাই কমান্ড। ঠিকঠাক জোট গড়তে পারলে কিস্তিমাত হতে পারে বলেই নাকি তাদের বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, শরিক দলগুলির প্রাপ্ত আসন সংখ্যার ভিত্তিতেই ঠিক করা হবে।

[পালানোর আগে জেটলির মেয়েকে ২৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন মেহুল চোকসি!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ