সুব্রত বিশ্বাস: মালগাড়িতে ইঞ্জিন জুড়তে গিয়ে দুই বাফারের মধ্যে পড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেলেন এক রেলকর্মী। বিজয়ওয়াড়ার রায়ানপাদু ওয়ার্কশপে দুর্ঘটনায় কর্মীর মৃত্যুর পরই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। আজ এই ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের অভিযোগ, ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই এই মৃত্যুর ঘটনা। অন্যদিকে কর্মীদের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, শান্টিংয়ের সময় যখন দুটি গাড়ি জোড়া হচ্ছিল তখন ওই কর্মী সময়ের সঙ্গে শরীরের তাল মেলাতে না পারায় দুটি বাফারের মাঝে চাপা পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর।
[ দিল্লির এইমসে ভরতি অটলবিহারী বাজপেয়ী, গঠন করা হল মেডিক্যাল বোর্ড ]
এই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু রেলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে। দুর্ঘটনার জন্য পারস্পরিক দোষারোপের পালা ও চাপানউতোর চলতে থাকে কর্মী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে। মাস কয়েক আগে খড়গপুর ওয়ার্কশপে ওয়াগন থেকে চাকা নামানোর জন্য ওয়াগনের গেট খোলা মাত্র কর্মীর গায়ের উপর সেই চাকা পড়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান এক কর্মী। দক্ষিণ পূর্ব রেলের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত সাহা বলেন, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট গাইড লাইন না মেনে চাকা লোড করায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদিকে, মৃত কর্মীও সেফটি রুল মানেনি। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে গেট খোলার নিয়ম। তিনি সামনে থাকায় চাকা তাঁর উপর এসে পড়ে। লিলুয়া ওয়ার্কশপে চাকা গড়িয়ে এসে মালগাড়ির গার্ডকে ওয়াগনের উপরই চেপে দেয়। ফলে মৃত্যু হয় ওই গার্ডের।
[ দেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে ভারতীয় রেল, মিলবে একাধিক কোর্সে প্রশিক্ষণের সুযোগ ]
রেল কর্তারা জানিয়েছেন, সেফটি রুল মেনে কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বহু সময় কর্মীরা তা মেনে চলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই সেফটির প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়াই কাজ করানো হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। দুর্ঘটনার পর কমিটি গঠন করে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ হয়। গাফিলতি কার তা ধরা হয়। ভবিষ্যতে তা এড়ানোরও সুপারিশও করে কমিটি।