সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : নিজের অভিভাবকদের বাঁচাতে চেয়েছিল ১৭ বছরের ওই কিশোরী। তাই রাতের অন্ধকারে লেকের জলে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল সে। সৌজন্যে ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের এমনই অনুমান। ‘ব্লু হোয়েল’ চ্যালেঞ্জের মতো মারণ খেলায় ঢুকে, নিজেকে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিল রাজস্থানের যোধপুরের ওই কিশোরী। খেলার চূড়ান্ত পর্বেও সে পৌঁছে যায়। সেখানেই ক্লাইম্যাক্স। যেখানে গিয়ে বেছে নিতে হয় হয় নিজের না হয় অন্যের জীবন কেড়ে নেওয়ার পথ। তাই নিজেকে শেষ করতে বাড়ির কাছের কল্যাণ লেকেই ঝাঁপ দিতে চলে যায় সে।
[শহরের অভিজাত আবাসনে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ধন্দে পুলিশ]
ওই কিশোরীর বাবা বিএসএফ-এর জওয়ান। কিশোরীর পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে না ফেরায় আশপাশে খোঁজ শুরু হয় তাঁর। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সেই রাতেই ওই কিশোরীকে দেখতে পান ওমপ্রকাশ নামের এক ক্যাব চালক। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, পার্কে স্কুটার দাঁড় করিয়ে লেকের দিকে হাঁটতে শুরু সে।
ওমপ্রকাশ জানান, মেয়েটিকে আটকাতে কিছু প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিতে চায়নি সে। তবে বারবার তার মায়ের মৃত্যুর আশঙ্কা করছিল। এরপরই আচমকা খাদের ধার থেকে লেকে ঝাঁপ দেয় কিশোরী। তাঁকে উদ্ধারের জন্য লেকের জলে ওমপ্রকাশও ঝাঁপ দেন। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ আধিকারিক লেখরাজ সিহাগ জানান, ১১টা নাগাদ তারা মেয়েটি সম্পর্কে তথ্য পান। তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ও দুজনকে জল থেকে তোলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর হাতে তিমি মাছের আকারে অনেকটা অংশ চেরা ছিল।
[হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মোদির ‘আপত্তিকর’ ছবি, গ্রেপ্তার ২]
‘ব্লু হোয়েল’-এর কবলে পড়ে ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে তো বটেই বিশ্ব জুড়েই একশোরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শেষ পর্বে এসে বেছে নিতে হয় যে কোনও একটা পথ। আত্মহনন অথবা অন্য কাউকে খুন করা। এই কিশোরী প্রথম পথেই হাঁটছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.