সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাকার হাতে ধর্ষিতা হতে হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও তুলে দিনের পর দিন তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। বাড়িতে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। উল্টে ধর্ষিতাকে মুখ বুজে থাকতে বলা হল। এই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বুধবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল ১৫ বছরের নির্যাতিতা।
[আজ বাইক কিনলে পাবেন ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়!]
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ওই কিশোরীকে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে তাঁর কাকা। তারপর সেই ধর্ষণের ভিডিও তুলে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে অভিযুক্ত। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, কাউকে জানালে ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া হবে ধর্ষণের ভিডিওটি। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ির লোকজনদের বিষয়টি জানায় ওই কিশোরী। তবে অভিযুক্তকে ভর্ৎসনা করেই রেহাই দেয় তাঁর পরিবার এবং নির্যাতিতাকে চুপ করে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
[তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি ১৯ মে-র মধ্যে]
এই ঘটনার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি কিশোরীর উপর নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। এই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে আসার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় POCSO আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।