সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের সম্মান না করলে, শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণ করলে দুষ্কৃতীদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারতে হবে! এমনটাই দাবি তুললেন অসমের এক বিজেপি সাংসদ। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধকে সমাজের বুক থেকে মুছে ফেলতে গুলি করে হত্যাই একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন তেজপুরের বিজেপি সাংসদ রাম প্রসাদ শর্মা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, একেবারে সৌদির ঢংয়ে ধর্ষকদের গুলি করতে পৃথক শুটিং স্কোয়াড চাই। সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে ধর্ষকদের খুলিতে বুলেট পুরে দিতে হবে, দাবি অসমের এই সাংসদের। আর যারা শ্লীলতাহানি করবে বা মহিলাদের উত্যক্ত করবে, তাদের অন্তত ১০ বছর জেলে কাটাতে হবে। অসমে গত সপ্তাহে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ কথা বলেন রাম প্রসাদ। চূড়ান্ত শাস্তি দিলে তবেই দুষ্কৃতীদের মনের মধ্যে ভয় জন্মাবে। পরেরবার এমন কোনও জঘন্য কাজ করতে যাওয়ার আগে তাদের আত্মাও কেঁপে উঠবে, মত বিজেপি সাংসদের।
তিনজন দুষ্কৃতী ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর খুন করে। গায়ে আগুন ধরিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করে দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের মধ্যে দুই নাবালক অসমের নগাঁও জেলার বাসিন্দা। এরকম শিউরে ওঠার মতো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘এরকম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের সাধারণ শাস্তি দিলে চলবে না।’ তাঁর আরও দাবি, একজন নাবালক যদি ধর্ষণ করে, তাহলে কেন তাকে নাবালক বলে গণ্য করা হবে? কেনই বা তার শাস্তির মেয়াদ কম হবে? বরং তাকেও সর্বোচ্চ সাজা দিতে হবে। কী সাজা? উত্তরে সাংসদ বলেন, ‘প্রকাশ্যে গুলি করে বা চৌরাস্তার মোড়ে ফাঁসিই এর একমাত্র সাজা।’
অসমে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশই যেন বাড়ছে বলে আশঙ্কা সাংসদের। তিনি চান, এবার থেকে দুষ্কৃতীদের মনে চরম শাস্তির ভয় ঢুকুক। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাম প্রসাদ আবেদন জানিয়েছেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আরও কড়া আইন আনা হোক। নগাঁওয়ে ক্লাস ফাইভের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়েও যেন ভয়ে কেঁপে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই জানিয়েছেন, আগুনে ওই নাবালিকার শরীরের ৯৫% পুড়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রাই তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভরতি করে। পরে সেখান থেকে আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ জানিয়েছেন, ওই নাবালিকাকে বাড়িতে একা পেয়ে গণধর্ষণ করে তিন দুষ্কৃতী। পরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.