Advertisement
Advertisement

Breaking News

জাল নোট সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘন, এসবিআইকে ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা

কীভাবে ধরা পড়ল এই বেনিয়ম?

RBI imposes fine on SBI for violating fake note norms
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 8, 2018 3:34 pm
  • Updated:September 13, 2019 3:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের অর্থনীতিকে দূর্বল করার সহজতম হাতিয়ার জাল নোট। তাই জাল নোটের কারবার রুখতে যথেষ্ট কড়া আইন আছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলি কীভাবে জাল নোট বাজেয়াপ্ত করবে, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাংকও। কিন্তু, সেই নির্দেশিকা মানছে না খোদ স্টেট ব্যাংকই! দেশের বৃহত্তম ব্যাংককে ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আরবিআই। তবে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, এসবিআইয়ের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন বা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বৈধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। শুধুমাত্র জাল সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অপরাধেই দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে।

[পিএনবিতে কেলেঙ্কারি হয়েছে ২৯,০০০ কোটি টাকার! সিইওকে তলব করল SFIO]

Advertisement

বিষয়টি ঠিক কী? সম্প্রতি স্টেট ব্যাংকের দু’শাখায় গ্রাহকদের টাকা রাখার ভল্ট বা কারেন্সি চেস্ট পরিদর্শন করেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা। তখনই তাঁদের নজরে আসে, জাল নোট শনাক্তকরণ ও বাজেয়াপ্ত করা সংক্রান্ত নির্দেশিকা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। গোটা বিষয়টি জানিয়ে আরবিআই কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেন পরিদর্শকরা। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্ট ও অন্যন্য নথি খতিয়ে দেখার পর, গত ৫ জানুয়ারি স্টেট ব্যাংককে শো-কজ করে রিজার্ভ ব্যাংক। কিন্তু, তাদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। শুরু হয় তদন্ত। শুনানিতে হাজির হয়ে জাল নোট সংক্রান্ত নির্দেশিকা না মানা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন স্টেট ব্যাংকের পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। রিজার্ভ ব্যাংকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাংকের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়, জাল নোট নিয়ে নিয়ন্ত্রক ব্যাংকের নির্দেশিকা মানেনি দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এরপরই স্টেট ব্যাংককে ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

গ্রেপ্তার হলে চিকিৎসা হবে কীভাবে? সিবিআইকে চিঠিতে হুঁশিয়ারি মেহুলের]

এদিকে আবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার দাবি করেছে, ১২,৬২২ কোটি টাকা নয়, বরং তার দ্বিগুণেরও বেশি টাকা কেলেঙ্কারি হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বা পিএনবিতে। জানা গিয়েছে, এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে আর্থিক কেলেঙ্কারি সূত্রপাত ২০১১ সালে। তখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ। ২০১৬-তে ৭০০০ কোটি টাকা ও ও ২০১৭-তে ৯৫০০ কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গিয়েছে। পিএনবি-র সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ক্ষেত্রে কার্যত কোনও নিয়মই মানেননি হীরকরাজ নীরব মোদি ও তাঁর মামা মেহুল চোখসি।

[সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে চতুর্থ ভারত, বহু দূরে পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ