সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্যোদয়ের সাক্ষী থাকা ঐশ্বরিক অনুভূতি বলেই মনে করেন অনেকে। সূর্যের প্রথম আলোয় যে নির্মলতা থাকে, তা শরীর ও মনকে অনাবিল আনন্দের জগতে নিয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি দেশে প্রথম কারা এ অনুভূতির সাক্ষী থাকেন?
টাইগার হিলে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়ের সাক্ষী থাকেন অনেকেই। কিন্তু সেখানেই প্রথম সূর্য ওঠে না। দেশের যে শহরে প্রথম সূর্যকিরণ এসে পড়ে, ছোট্ট সে জনপদের কথা অনেকটাই অজানা। অবশ্য অরুণাচল প্রদেশেই যে প্রথম সূর্যকিরণ পড়ে তা অনেকেই জানেন। কিন্তু পুরো অরুণাচলেই যে সূর্যের আলো প্রথম এসে পড়ে এমনটা নয়। আসে ডং নামে এক ছোট্ট শহরে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের হাত ধরে বিশ্বসেরার তকমা বাংলার মুকুটে
লোহিত, ব্রহ্মপুত্র আর সতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে এই ছোট্ট শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২৪০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এ শহরই প্রথম গায়ে মাখে সূর্যের আলো। সাধারণত প্রায় ভোর ৫.৫৪-এ এখানে সূর্য ওঠে। সারা দেশে এর বেশ কিছুক্ষণ পরে তবেই আলো দেখা যায়। দেশের পূর্বে সীমান্তের শেষপ্রান্ত হিসেবে এই শহরটিকেই গণ্য করা হয়। মায়ানমার আর চিনের দৌলতে রীতিমতো স্যান্ডুইচ অবস্থা শহরটির। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই বহু মানুষ এই সূর্যোদয়ের সাক্ষী থাকতে হাজির হন ডংয়ে। প্রায় ৮ কিলোমিটার ট্রেক করে তবেই পৌঁছতে হয়। তবে পাহাড়ের পিছনে যখন ভোরের প্রথম আলো এসে পড়ে, তা যে সত্যিই স্বর্গীয় বিভা, এ নিয়ে দ্বিমত নেই প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে।