Advertisement
Advertisement

Breaking News

বখশিশ মেলেনি, প্রসূতির পেটে সেলাই করলেন না নার্স!

অভিযুক্ত নার্সকে অন্যত্র বদলি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Refused ‘badhai’, nurse in Haryana’s Sonepat hides newborn from mother
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 7, 2017 1:24 pm
  • Updated:September 7, 2017 1:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সরকারি হাসপাতালে বেতনভুক কর্মচারী তাঁরা। তবুও সন্তান হওয়ার পর, অনেক সময়ই প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে বখশিশ চান নার্সরা। সন্তান লাভের খুশিতে দিয়েও দেন অনেকে। কিন্তু, নার্সকে যদি তাঁর দাবি অনুযায়ী বাড়তি অর্থ না দেওয়া হয় তাহলে পরিণতি যে কী মারাত্বক হতে পারে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন হরিয়ানার সোনপতের বাসিন্দা সঙ্গীতা সিং। প্রসবের পর, বছর একত্রিশের ওই মহিলার পেটে সেলাই করতেই দেননি সোনপত সিভিল হাসপাতালের এক নার্স। কারণ তিনি বখশিশ দেননি। ছাড়ার পাওয়ার পর ফের হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছে সঙ্গীতাকে।

[গৌরীর পর মৌলবাদীদের হিট লিস্টে লেখিকা অরুন্ধতী রায়!]

Advertisement

দিন কয়েক আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সোনপত সিভিল হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ওই বধূ। তাঁর অভিযোগ, সন্তান হওয়ার পর বখশিশ চেয়েছিলেন সীমা দেবী নামে হাসপাতালের এক নার্স। তাঁর বাড়ির লোকেরা তা দিতে রাজি হননি। অভিযোগ এর জন্য  প্রায় দু’ঘণ্টা সদ্যোজাততে মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত নার্স। পরে পরিবারের লোকেদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সাময়িকভাবে মেটে। যেহেতু তাঁর স্বাভাবিকভাবে প্রসব হয়েছিল, সেজন্য দু’দিন বাদে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান সঙ্গীতা। কিন্তু, বাড়ির ফেরার পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গীতার শ্বশুর জানিয়েছেন, ‘ প্রথমে আমরা ওঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে বৌমাকে ভরতি করানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন পেটে সেলাই করা হয়নি।’  এই নিয়ে সোনপত সিভিল হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সঙ্গীতার বাড়ির লোকেরা।

Advertisement

[মৃত্যু নেই, প্রয়াণেও অন্যের চোখে আলো ফোটাবেন গৌরী]

ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স সীমা দেবীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সোনপত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপাতত তাঁকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সোনপত সিভিক হাসপাতালে প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল অফিসার সি পি আরোরা জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। প্রথমত, তিনি প্রসূতি পেটে সেলাই করতে দেননি। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর বখশিস চেয়েছেন। ওই নার্সকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। হাসপাতালের বাকি নার্সদেরও সতর্ক করে দিয়েছি।’

[দ্রুতই মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে লাক্ষাদ্বীপ, জানেন কেন?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ