সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই জাল বিস্তার করছে করোনা। ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমস্ত জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করার কথা বলছে প্রশাসন। এই নির্দশিকা জারি হয়েছে ধর্মস্থানগুলির ক্ষেত্রেও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জারি করা একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পুজো দেওয়া, প্রার্থনা, প্রসাদ বিতরণ, সিঁদুর বিন্দু বা পবিত্র জল ছেটানো, সব ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। এমনকী, মন্দির, মসজিদ বা গুরুদ্বারের মতো জায়গায় কেউ শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে গান গাইতে পারবেন না। যদি সম্ভব হয়, তবে রেকর্ড বাজানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
দক্ষিণের সবরিমালা থেকে উত্তরে বৈষ্ণোদেবী, দেশের সমস্ত জনপ্রিয় স্থানগুলি ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ। করোনা প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে মন্দিরের দরজা। দুই মাসেরও বেশি লকডাউন চলার পরে, এই মাসে বেশিরভাগ রাজ্যে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেগুলো এখনও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়নি, সেগুলিও খুব শীঘ্রই খুলে যাবে। অনেক রাজ্য ধর্মস্থান খোলা নিয়ে ইতিমধ্যে গাইডলাইন বানিয়ে ফেলেছে। তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জারি করা কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় ধর্মস্থানগুলিতে যাঁরা যাবেন, তাঁদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থানের কথাও বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। আরও বলা হয়েছে, ভক্তদের প্রবেশের সময় সর্বদা সর্বনিম্ন অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
গাইডলাইনে এও হয়েছে, যাঁরা ধর্মস্থানগুলিতে প্রবেশ করবেন, তাঁরা যেন অতি অবশ্যই প্রবেশের আগে তাঁদের হাত পা সাবান দিয়ে ধুয়ে নেন। প্রার্থনার জন্য মন্দির বা মসজিদের তরফে যে মাদুরগুলি দেওয়া হয়, তা দেওয়া যাবে না। ভক্তদের নিজের বসার স্থান নিজেদেরই সঙ্গে করে আনতে হবে। মূর্তি, প্রতিমা, বা পবিত্র বইগুলির স্পর্শ অনুমোদিত নয়। ধর্মীয় স্থানের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ বা পবিত্র জলের ছিটিয়ে দেওয়ার সময় যাতে কোনও শারীরিক সংস্পর্শ না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। যতদূর সম্ভব, রেকর্ডকরা ভক্তিগীতি বাজাতে হবে। শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে গান গাওয়া এই পরস্থিতিতে অনুমোদিত নয় বলে নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.