সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাশে শায়িত রয়েছে মৃতদেহ৷ আপনি দিব্যি মনের সুখে খেয়ে চলেছেন৷ মাঝে এক কাপ কফিতে সুখের চুমুকও দিয়ে নিলেন৷ এই কথা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না বেশিরভাগ মানুষ৷ কিন্তু এমনটাই হচ্ছে বাস্তবে৷ তাও আবার এই ভরতবর্ষে৷ যেখানেই সমাধিস্থলেই রেস্তরাঁ খুলে বসেছেন আহমেদাবাদের কৃষ্ণণ কুট্টি৷ আর তাঁর এই ব্যতিক্রমী চিন্তার ফসল চলছে রমরমিয়ে৷
[হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে চলন্ত ট্রেনে মহিলার প্রসব করিয়ে নজির হবু ডাক্তারের]
যেখানে কুট্টির নিউ লাকি রেস্তরাঁ এখন রয়েছে৷ বহু বছর আগে ছিল সেখানে ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের সমাধিক্ষেত্র৷ যেখানে ছিল মোট ১২টি সমাধি৷ স্থানীয়রা বলেন, এই সমাধি গুলি সপ্তদশ শতকের এক সুফি সন্তের শিষ্যদের৷ যাঁর সৌধ কাছের এলাকাতেই রয়েছে৷ প্রথম থেকেই সমাধিগুলি সরানোর ইচ্ছে ছিল না কুট্টির৷ কারণ তিনি মনে করেন, মৃত্যু মানে শান্তি৷ তাই এই মৃতদেহগুলি সৌভাগ্যের প্রতীক৷ হঠাৎ কুট্টির মাথায় একটা উপায় আসে৷ সমাধিগুলি সুন্দর করে বাঁধিয়ে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেন তিনি৷ তার পাশে পাশেই বসিয়ে দেন টেবিল চেয়ার৷ সমাধিগুলি সঙ্গে নিয়েই শুরু হয়ে যায় নিউ লাকি রেস্তরাঁ৷
[ঘনিষ্ঠতা আর রোম্যান্সে ট্রেলারেই নজর কাড়ল ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’]
প্রতিদিন সমাধিগুলিকে পরিষ্কার করা হয়৷ তাঁতে চাদর দিয়ে ঢাকা হয়৷ ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়৷ পবিত্র আত্মাদের কাছে প্রার্থনা করেই কাজ শুরু করেন রেস্তরাঁ কর্মীরা৷ ক্রেতারাও এই ধিরে ধিরে এই ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন৷ ধিরে ধিরে জনপ্রিয়তা বেড়েছে সমাধিক্ষেত্র নিয়ে তৈরি হওয়া এই রেস্তরাঁ৷ কুট্টির বিশ্বাস সমাধিক্ষেত্রের অশরীরিদের আশির্বাদেই এমনটা হচ্ছে৷ আহমেদাবাদের মানুষরাও এই বিরল অভিজ্ঞতা ছাড়ছেন না৷ অনেকে তো নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছেন রেস্তরাঁয়৷ দিব্যি খাবার অর্ডার দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন৷ এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে ভিড় জমাচ্ছেন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলেই৷
[‘ট্রাই-এর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন সামার সারপ্রাইজ অফার দিচ্ছে Jio?’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.