সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে হিংসার জন্য উসুল করা হয়েছে জরিমানা। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া মামলাও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এবার তাঁদের জনসমক্ষে ‘অপমান’ করার পন্থা খুঁজে বের করেছে প্রশাসন। লখনউয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে এই CAA বিরোধীদের নাম, ছবি এবং ঠিকান-সহ বড়বড় পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের(Yogi Adityanath) নির্দেশেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে লখনউ জেলা প্রশাসন।
Lucknow district administration has put up hoardings bearing names of the people who allegedly damaged properties during anti-CAA protests on December 19 last year. pic.twitter.com/dk1d59y64M
— ANI UP (@ANINewsUP) March 6, 2020
[আরও পড়ুন: ‘অশান্তি করতে এলে উপযুক্ত শিক্ষা দেব’, হিংসার মধ্যেও ঐক্যর সুর দিল্লির এই গ্রামে]
লখনউয়ের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারেই বড়বড় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। একেকটি পোস্টারে বেশ কয়েকজন করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) বিরোধী বিক্ষোভকারীর নাম রয়েছে। তাঁদের ছবি ঠিকানা এবং বিস্তারিত দেওয়া আছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই বিক্ষোভকারীদের পোস্টার টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এঁদের ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হিংসার ঘটনায় সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি এঁরা টাকা পরিশোধ না করেন, তাহলে সরকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে।”
[আরও পড়ুন: ‘রাজধানীর হিংসা পরিকল্পিত’, রিপোর্ট দিল দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশন]
যোগী সরকারের এই কাণ্ডে রীতিমতো অপমানিত বোধ করছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বলছেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, শাস্তি পাওয়া বা বিচার প্রক্রিয়া পুরোটাই গোপনীয়। এই পোস্টার সাঁটিয়ে তাঁদের হেনস্তা করা হয়েছে বলে দাবি CAA বিরোধী বিক্ষোভকারীদের। ইতিমধ্যেই, ওই পোস্টারে নাম এবং ছবি আছে এমন বেশ কয়েকজন আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের এক নেতা বলছেন, “আদালতে প্রমাণ হয়নি এমন কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের এভাবে হেনস্তা করা যায় না। এটা আফগানিস্তান নয়, এখানে বিচারপ্রক্রিয়া এভাবে প্রকাশ্যে আনা যায় না।”