Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোমিলা থাপার

কেন্দ্রের কলকাঠি! বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারের যোগ্যতার প্রমাণ চাইল জেএনইউ

মোদি সরকারের তীব্র সমালোচক থাপার।

Romila Thapar has been reportedly asked by the Centre to submit her CV
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 1, 2019 3:33 pm
  • Updated:September 1, 2019 3:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদ্মভূষণ ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারের যোগ্যতার প্রমাণ চাইল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববন্দিত ইতিহাসবিদকে তাঁর বায়োডেটা জমা দিতে বলেছে। সারাজীবনে তাঁর সাফল্যের পরিমাণ খতিয়ে দেখবে জেএনইউ-এর কমিটি। তারপরই ঠিক হবে রোমিলা থাপার সাম্মানিক এমেরিটা অধ্যাপিকা পদে থাকতে পারবেন কিনা। এই ঘটনা বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদকে রীতিমতো ব্যথিত করেছে, তা বলাই বাহুল্য।

[আরও পড়ুন: ‘প্রতিহিংসা বন্ধ করে অর্থনীতির হাল ফেরান’, মোদিকে পরামর্শ মনমোহনের]

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় অবসর নিতে চলা বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বা অধ্যাপিকাদের এমিরেটাস বা এমিরেটা অধ্যাপক বা অধ্যাপিকা পদে নিয়োগ করে। এই পদ সাম্মানিক, এর জন্য অতিরিক্ত কোনও আর্থিক সুবিধা থাকে না। রোমিলা থাপারের সারাজীবনের কৃতিত্বের জন্য তাঁকেও এই পদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, খানিকটা আচমকাই বর্ষীয়ান অধ্যাপিকাকে তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করতে বলা হল। জেএনইউ একজিকিউটিভ কাউন্সিল থাপারের যোগ্যতা খতিয়ে দেখবে বলে জানানো হয়েছে। তিনি তাঁর বায়োডেটা জমা দেওয়ার পর, তা খতিয়ে দেখে ঠিক করা হবে প্রখ্যাত এই ইতিহাসবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাম্মানিক পদে থাকতে পারবেন কিনা।

Advertisement

ইতিহাসবিদ হিসেবে সারা বিশ্বেই খ্যাতি আছে থাপারের। আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর পাওয়া সম্মানের তালিকাটাও দীর্ঘ। তিনি আমেরিকার ফিলোজফিক্যাল সোসাইটির সদস্যা তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন। ঝুলিতে রয়েছে ইতিহাসের নোবেল হিসেবে পরিচিত ক্লুগ পুরস্কার। ভারত সরকারও তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দিয়েছে। তাঁর লেখা একাধিক বই গোটা বিশ্বে প্রশংসিত।  এ হেন ইতিহাসবিদদকে এবার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক পদে থাকার জন্য। জেএনইউ-এর ইতিহাসেও এই ঘটনা প্রথমবার হতে চলেছে। কারণ, জেএনইউ একবার কাউকে কোনও সাম্মানিক পদ দিলে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে আর পুনর্বিবেচনা করে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: NRC-তে ‘ব্রাত্য’, আতঙ্কের প্রহর গুনছে ১৯ লক্ষ মানুষ]

অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। থাপার বেশ কিছুদিন ধরেই মোদি সরকারের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিত। সেকারণেই হয়তো কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে থাপারকে অপমানিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ