Advertisement
Advertisement

চলতি অর্থবর্ষে ব্যাংক জালিয়াতির পরিমাণ ২৫,৭৭৫ কোটি টাকা, বলছে RBI

বিপুল ক্ষতির মুখে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলি৷

RTI reveals public sector banks lost Rs 25,775 crore in frauds
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 28, 2018 8:10 pm
  • Updated:May 28, 2018 8:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরেই প্রকাশ্যে এসেছে এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতি৷ পাঞ্জাব ন্যাশলান ব্যাংক-সহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১২,৬৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছে হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি৷ ঘটনাটি সামনে আসার পরেই চন্দ্রশেখর গৌড়ার মনে প্রশ্ন জন্মায়, কেবলমাত্র একটি ব্যাংকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার জালিয়াতি হলে দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলির কী অবস্থা? জানার জন্য রিজার্ভ ব্যাংকে আরটিআই করেন তিনি৷ উত্তরে যা পেলেন তাতে চক্ষুচড়ক গাছ চন্দ্রশেখর গৌড়ার৷

[পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্র, সরব মমতা]

Advertisement

আরটিআই-তে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ভারতের দেশের একুশটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি হয়েছে মোট ২৫৭৭৫ কোটি টাকা৷ তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে অবশ্যই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক৷ সমস্ত শাখা মিলিয়ে তাদের জালিয়াতি হওয়া অর্থের পরিমাণ ৬৪৬১.১৩ কোটি টাকা৷ এছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরও কুড়িটি ব্যাংকের নাম৷ জালিয়াতির পরিমাণের দিক থেকে বেশ উপরে রয়েছে সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে পরিষেবা প্রদানকারী পাঁচটি ব্যাংক৷ স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাংক, ব্যাংক অফ বরোদা, ইউকো ব্যাংক ও অন্ধ্র ব্যাংকে জালিয়াতির পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া৷ আরটিআই-তে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ এই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জালিয়াতির ফলে স্টেট ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৩৯০.৭৫ কোটি টাকা৷ যা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ এরপর রয়েছে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ২২২৪.৮৬ কোটি, ব্যাংক অফ বরোদার ১৯২৮.২৫ কোটি টাকা, এলাহাবাদ ব্যাংকের ১৫২০.৩৭ কোটি টাকা, অন্ধ্র ব্যাংকের ১৩০৩.৩০ কোটি টাকা ও ইউকো ব্যাংকের ১২২৪.৬৪ কোটি টাকার বিপুল জালিয়াতি৷ তালিকা এখানেই শেষ নয়৷ রয়েছে আইডিবিআই ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক, ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র, কর্পোরেশন ব্যাংক, ইউনাইটেড ব্যাংক, ওরিয়েন্টল ব্যাংক অফ কমার্স ও ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাংকের নাম৷

Advertisement

[মেলার মাঠে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নাগরদোলা, প্রাণ গেল খুদের]

গত ১৫ মে রিজার্ভ ব্যাংক থেকে আরটিআই-এর উত্তর পাওয়ার পর কার্যত স্তম্ভিত চন্দ্রশেখর গৌড়া৷ তিনি জানান, দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ প্রত্যেকদিন বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের রোজগার আয়ের যে টাকা রাখেন তা নিমেষে গায়েব হয়ে যাচ্ছে৷ নেই কোনও সুরাহার পথ৷ এই তথ্য পেয়ে কার্যত হতাশ অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ৷ এইভাবে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি যে ভেঙে পড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ রাখতে চাইছেন না অর্থনীতিবিদ জয়ন্তীলাল ভাণ্ডারী৷ তাঁর মতে, এর প্রভাব উচ্চবিত্ত শ্রেণিতে কতটা পড়বে তা এখনই বাল যাবে না৷ অবলুপ্ত হয়ে যাবে মধ্যবিত্ত ও নিচু তলা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ