Advertisement
Advertisement

Breaking News

সাংবাদিক থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী, স্বপ্নের উড়ানে ‘পাইলট’ শচীনই

তরুণ তুর্কি নেতা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানতেন?

Sachin Pilot was intern of BBC on his first job
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 15, 2018 5:22 pm
  • Updated:December 15, 2018 5:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হয়নি। কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছেন রাহুল গান্ধী। তবে রাজনৈতিক কেরিয়ারের আগে শচীন পাইলটের প্রথম কাজ রেডিও সাংবাদিকতা। ১৯৯৬ সালে বিবিসি রেডিও থেকে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথম পাওয়া বিবিসি-র চেক এখনও ভাঙাননি শচীন৷

বিধানসভা নির্বাচনে এবার বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন অশোক গেহলট। তবে শচীন না অশোক, তা নিয়ে দিনভর বৈঠক চলে গান্ধী পরিবারে। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখে অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে কংগ্রেস। তবে শচীনকে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করা হয়। শচীনের কেরিয়ারের প্রথম চাকরির দিনগুলো কাজ করার সময় পিভি নরসিমা রাওয়ের সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন বাবা রাজেশ পাইলট। বিবিসি-র সাংবাদিক সতীশ যাদবের কাছে শচীনকে কাজ শেখানোর অনুরোধ করেন তিনি। রফি মার্গের অফিসে ইন্টার্ন হিসেবে বিবিসি হিন্দি রেডিওতে কাজ করতেন শচীন। হরিয়ানার কোনও একটি ঘটনায় বিবিসি টিমের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন শচীন। তখন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বংশীলাল। স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া ও তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করার কাজ দেওয়া হয় শচীনকে। তাঁর কাজ বিবিসি-তে সম্প্রচারও হয়েছিল। সেই সময় শচীনের মাইনে ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। নিজের প্রথম চেক এখনও ভাঙাননি শচীন।

Advertisement

[বিমানে বোমা আছে, যাত্রীর দাবিতে হুলস্থুল মুম্বই বিমানবন্দরে]

তবে বিবিসি-তে কোনও মন্ত্রীর ছেলে হিসেবে একেবারেই দেখা হত না। শচীন নিজেও তা চাননি। বিবিসি হিন্দিতে সেই সময় কাজ করতেন রাম সুব্রহ্ম্যণম। তিনি বলেন, “আমরা প্রথমেই শচীনকে বলে দিয়েছিলাম, রাজেশ পাইলটের ছেলে, সেটা ভুলে যাও। এখানে তোমাকে ভিআইপির ছেলে হিসেবে ভাবা হবে না।” শচীন নিজেও সেটা চাইতেন না। তিনি একবার বিবিসি-র কাজ নিয়ে বলেন, “আমি সেটাই চাইতাম। বাবার ছায়ায় কখনও থাকতে চাইনি। নিজে কিছু করার চেষ্টা করতাম।” সে সময় শচীনের সঙ্গে সব সময় বডিগার্ড থাকত। তাই রিপোর্টিংয়ের থেকে তাঁকে ডেস্কের কাজই দেওয়া হত। এরপর এমবিএ করতে পেনসিলভেনিয়ায় চলে যান শচীন। বাবার মতো কখনও রাজনীতিতে আসতে চাননি। কিন্তু হঠাৎ গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর পর মা রামা ও শচীন সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন৷ সেই থেকেই শুরু হয় লড়াই। বর্তমানে কংগ্রেসকে লোকসভায় ভাল ফল করানোর দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধপরিকর শচীন পাইলট। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ