সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মঙ্গলবার সীমানা পার করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বায়ুসেনার অভিযানের কথা বলে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গি বাহিনী জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই অভিযানের কোনও ছবি এখনও প্রকাশ করেনি ভারত। কিন্তু সত্যিই কি সরকারের হাতে ওই দিনের এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ রয়েছে? সূত্রের খবর, সেদিন কী হয়েছিল তা জানাতে পারে উপগ্রহ চিত্র। আর সে কারণে উপগ্রহ চিত্রগুলিকে ‘একান্ত গোপনীয়’ তথ্য বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির বক্তব্য, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমানা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হানা দিয়েছিল বায়ুসেনা। ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমান ইজরায়েলের বিশেষ বোমা ফেলে ধ্বংস করেছে জইশ ঘাঁটি। সূত্রের দাবি, দুটি আলাদা মাধ্যমে উপগ্রহ চিত্র পেয়েছে কেন্দ্র। তাতে দেখা যাচ্ছে, বালাকোটে জইশেরর ছ’টির মধ্যে পাঁচটি ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সফল হয়েছে বায়ুসেনা। উপগ্রহচিত্রে ওই পাঁচটি বাড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছিদ্র দেখা যাচ্ছে। এগুলি দিয়েই ঢুকেছিল স্পাইশ ২০০০ গ্লাইড বোমা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বোমাগুলি কোনও বাড়িতে গিয়ে আঘাত হানলে সেটি ধ্বংস নাও হতে পারে। কিন্তু ভিতরে ঢুকে ধ্বংসলীলা চালায়। এজন্য অনেকে একে ‘অদৃশ্য অস্ত্র’ও বলেন।
আগেই বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছিল, মিরাজ বিমানগুলি ধীরে ধীরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে। এরপর কীভাবে বোমা ফেলা হবে তা দেখে নিয়ে হামলা চালানো হয়। অন্য একটি সূত্র বলছে, বালাকোটের আকাশে ওই সময় মেঘ জমে থাকায় ভারতীয় উপগ্রহ স্পষ্ট ছবি তুলতে পারেনি। এদিকে রবিবার ‘দ্য প্রিন্ট’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বিশিষ্ট সাংবাদিক তহা সিদ্দিকি একটি অডিও টেপ সম্পর্কে লিখেছেন, যেটি ভারতীয় বায়ুসেনার ওই অভিযানের দু’দিন পর রেকর্ড হয়েছে। সেখানে জইশের তরফ থেকে ভারতের হামলার প্রসঙ্গ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.