সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোটবন্দির পর থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে কড়াকড়ি করেছে আরবিআই৷ সরকারি পরিষেবা সরাসরি সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টকেই হাতিয়ার করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ বর্তমান জিএসটির বাজারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে৷ অর্থ সঞ্চয় হোক কিংবা সরকারি ভরতুকি পাওয়ার জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ পরিবারের একটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পৌঁছে গিয়েছে৷ নোটবন্দির পর ব্যাংক ব্যবসায় জোয়ার এলেও সেভিংস একাউন্টে সুদের হারে বিস্তর পার্থক্য থেকেই গিয়েছে৷
সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকগুলির সুদের হারের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে৷ কোথায় সেভিংস একাউন্টে চার শতাংশ সুদের হার নির্ধারিত করা হয়েছে, কোথাও আবার তিন-সাড়ে তিন শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের৷ তিন-চার শতাংশের টানাপড়েনের মধ্যে পাঁচ-ছয় শতাংশ সুদ দেওয়ার ঘোষণা করে গ্রাহক ধরার চেষ্টা চলছে৷ তবে জানেন কি, এসবিআইয়ের তুলনায় কত শতাংশ বেশি সুদ দিয়ে থাকে ইয়েস ব্যাংক? এইচডিএফসি ব্যাংকের তুলনায় কত কম সুদ দেয় আইসিআইসিআই ব্যাংক?
পরিসংখ্যান বলেছে, এসবিআই এক কোটি টাকা পর্যন্ত সেভিংস একাউন্টে ৩.৫০ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে৷ এক কোটির বেশি টাকা থাকলে ৪ শতাংশ সুদ দেওয়ার ব্যবস্থা আগেই ব্যবস্থা করে রেখেছে ভারতের বৃহত্তম এই ব্যাংকটি৷ আইসিআইসিআই ব্যাংকের সুদের হারেও হয়েছে বিস্তর ফারাক৷ দৈনিক ৫০ লক্ষ টাকার অনুপাতে সুদের হার ৩.৫ শতাংশ৷ ৫০ লক্ষ টাকার টাকার বেশি অ্যাকাউন্টে থাকলে তখনই মিলবে ৪ শতাংশ৷ দিনের লেনদেনের উপর সুদ কার্যকর করার শর্ত আগেই দিয়ে রেখেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷ যদিও, আর্থিক কেলেঙ্কারি জেরে এই মুহূর্তে টালমাটাল আইসিআইসিআই ব্যাংক৷
এইচডিএফসি ব্যাংক ৫০ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৪ শতাংশ ও ৫০ লক্ষের নিচে থাকলে ৩.৫০ শতাংশ সুদ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে৷ ব্যাংক অফ বরোদা এইচডিএফসির ঝাঁচে সুদের হার নির্ধারণ করে রেখেছে৷ এইচডিএফসি, ব্যাংক অফ বরোদা বা এসবিআইকে টপকে সুদের হারে শীর্ষে ইয়েস ব্যাংক৷ এক লক্ষ টাকা কম জমা অর্থের উপর সুদের হার ৫ শতাংশ ও এক লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৬ শতাংশ এবং এক কোটির উপর ৬.২৫ শতাংশ সুদের হার নির্ধারিত করা হয়েছে৷