Advertisement
Advertisement

Breaking News

POCSO

স্পর্শ না করলেও পকসো আইনে গ্রাহ্য যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, মন্তব্য শীর্ষ আদালতের

বম্বে হাইকোর্টকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট।

SC says 'Skin-to-skin' contact not necessary for sexual assault under POCSO Act | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 18, 2021 1:16 pm
  • Updated:November 18, 2021 4:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে শরীর স্পর্শ না করলেও তা পকসো আইনের (POCSO) আওতাতেই পড়বে, স্পষ্ট করে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court) । উল্লেখ, সম্প্রতি একটি মামলায় বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) নাগপুর বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে তা পকসো আইনের আওতায় পড়ে না। বম্বে হাই কোর্টের এই রায়কে সামনে রেখেই কড়া মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ মন্তব্য করে, “স্পর্শ ও ত্বকের ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ ইত্যাদি বলে ছোট করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনের কার্যকারিতাকে। ধ্বংস করা হচ্ছে পকসো আইনকে, যা তৈরি করা হয়েছে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা পরিসংখ্যানে সামান্য উদ্বেগ, অনেকটা বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা]

উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালার দুটি রায় ঘিরে সাম্প্রতিককালে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। একটি রায়ে তিনি বলেন, পোশাকের উপর দিয়ে নাবালিকার শরীরে হাত দিলে তা পকসো আইনের আওতায় যৌননিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। যৌন নির্যাতনের অভিপ্রায়ে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে গণ্য হবে। অন্য একটি মামলার রায়ে তিনি বলেন, কোনও নাবালিকার হাত ধরা কিংবা প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনে যৌন নির্যাতন নয়। যদিও গত ২৭ জানুয়ারি এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

বম্বে হাইকোর্টে বিতর্কিত রায় নিয়ে এদিন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি রীতিমতো কড়া মন্তব্য করেন। বলেন, “যৌন নিগ্রহের অভিপ্রায়ে পোশাক বা অন্য কিছুর উপর দিয়ে শরীর স্পর্শ করার বিষয়ে পকসো আইনে স্পষ্ট করেই বলা আছে। কোর্ট (বম্বে হাইকোর্ট) এই বিষয়ে অস্পষ্ট মন্তব্য করতে পারে না, যা সহজ ভাষায় বলা আছে আইনে। সঙ্কীর্ণ মন্তব্যের ফলে এই আইনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। “

[আরও পড়ুন: চলতি অর্থবর্ষেই বেসরকারিকরণের পথে আরও ৫-৬টি কেন্দ্রীয় সংস্থা, ইঙ্গিত শীর্ষ আধিকারিকের]

গত ১২ জানুয়ারি বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল, জাতিয় মহিলা কমিশন ও রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আজ এই মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ