Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19

মুম্বইয়ে এবার ফিল্ম নির্মাতা সংস্থার ১৫০ কর্মীকে ভুয়ো টিকা! দায়ের হল FIR

ইতিমধ্যেই অন্য একটি ভুয়ো টিকা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

Second FIR in Mumbai vaccine scam, 150 employees of production house get jab but no certificates | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 20, 2021 4:00 pm
  • Updated:June 20, 2021 4:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের (Mumbai) ভুয়ো টিকা কাণ্ডে (Vaccine scam) আরও একটি FIR দায়ের হল। যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের টিকাকরণের নামে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল, এক্ষেত্রেও অভিযোগ তাঁদেরই বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ, এক ফিল্ম নির্মাতা সংস্থার কর্মীদের ভুয়ো টিকা (COVID vaccine) দেওয়ার।

গত ২৯ মে ‘ম্যাচবক্স পিকচার্স’-এর ১৫০ জন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু টিকাকরণের পরে তাঁদের কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই অনেকের টিকাকরণ হয়ে যাওয়াতেই সার্টিফিকেট ইস্যু করতে দেরি হচ্ছে। এই ভাবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পাওয়া যায়নি সার্টিফিকেট। এদিকে কারও শরীরেই টিকাকরণের কোনও রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এরপরই এফআইআর দায়ের করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত? বিল পাশের দু’বছর পরও ‘দিশাহীন’ মোদি সরকার]

এদিকে কান্দিভালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে আবাসনে ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগে। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আপাতত তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সেই থানায় তদন্ত শেষ হলেই তাদের হস্তান্তরিত করা হবে বার্সোভা থানায়। তখন তাদের এই দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কান্দিভালির হিরানন্দনী এস্টেট সোসাইটি নামের আবাসনেও ভুয়ো টিকাকরণ করে ওই অভিযুক্তরা। তাদের অন্যতম রাজেশ পাণ্ডে নিজেকে ‘কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতাল’-এর প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে। একটি টিকার মূল্য ১২৬০ টাকা ধরে সব মিলিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু এক্ষেত্রেও আবাসনের শ চারেক বাসিন্দার কেউই কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভোগেননি। তাছাড়া কাউকে টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়নি। পরে সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও দেখা যায়, একেকটি সার্টিফিকেটে একেক হাসপাতালের নাম।

[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ!]

সেই সূত্রেই ধরা পড়ে যায় জালিয়াতি। দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের নেওয়া টিকাটাও ‘ভুয়ো’ নয় তো, এমনই চিন্তা পাক খাচ্ছে তাঁদের মনে। অবিলম্বে প্রশাসন এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যস্থা নিক ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুক, উঠছে সেই দাবি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ