সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতই আধুনিকীরণ হোক কিংবা দেশ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দিকে এগিয়ে যাক, সাধারণ মানুষের জন্য যে ন্যূনতম পরিষেবাটুকু নেই ফের একবার প্রমাণিত হল সেটা। বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিষেবা প্রতিদিন আরও খারাপ হয়েই চলেছে। কখনও অতিরিক্ত বিল, আবার কখনও একই হাসপাতালে একসঙ্গে একাধিক শিশুর মৃত্যু। প্রায়দিনই খবরের শিরোনামে থাকে হাসপাতালগুলির নাম। তুলনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা থাকে নামমাত্র। সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কেউই। সম্প্রতি শিরোনামে এসেছে বিহারের মুজাফফরপুরের একটি সরকারি হাসপাতাল। মঙ্গলবার সামনে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেডে রোগীর পাশেই শুয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি কুকুর। আর ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মুজাফফরপুরের ওই সরকারি হাসপাতালের একটি ঘরে রাতের বেলা বেশ কয়েকজন রোগী শুয়ে রয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পাশের কয়েকটি বেডে গুটিশুটি মেরে শুয়ে রয়েছে সারমেয়রা। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওই হাসপাতালে কেন কোনও কর্মী নেই? থাকলেও তাঁরা কেন ওই সারমেয়গুলিকে তাড়ায়নি? জানা গিয়েছে, রাতের সময় হাসপাতালের কোনও কর্মীরই দেখা মেলে না। আর তাই সেই সুযোগে রোগীর জন্য রাখা বেডের দখল নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে কুকুরগুলি। ওই ঘরের ৪০টি বেডের মধ্যে ১০টিতেই শুয়ে রয়েছে কুকুরগুলি। যদিও ঘটনার প্রসঙ্গে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও বিহারের হাসপাতালগুলির বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। গত মাসেই রাজধানী পাটনার এইমসে-র একটি ঘটনা আলোড়ন ফেলেছিল। যেখানে সরকারি নিয়মানুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের ফর্মপূরণ করতে গিয়ে অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি দিনমজুর বাবা। ফলে বাবার কোলেই মারা যায় ৯ বছরের মেয়েটি। কারণ লাইন দীর্ঘ হলেও ওই ব্যক্তির অনুনয়-বিনয় শোনেননি সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই নিয়মভাঙা যাবে না। এরপরও বেশ কিছুদিন ওই খবর শিরোনামে ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.