সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিলের পর অনলাইন ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্র। এসেছে ‘ভীম’-এর মতো নতুন অ্যাপ যার সাহায্যে নগদহীন লেনদেন করতে পারেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার মুম্বইযে খোঁজ মিলল এক অভিনব প্রতারণা চক্রের। যে চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে পেটিএম-এর মতো ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। বিনিময়ে তাদের ‘সেক্স পার্টনার’ খুঁজে দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস-এর।
[হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, এলাকায় উত্তেজনা]
মুম্বইয়ের সাইবার পুলিশ সম্প্রতি অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে এমনই এক অভিনব চক্রের খোঁজ পেয়েছে। মানুষকে বোকা বানাতে প্রায় ৩১০টি অবৈধ সিম কার্ড ব্যবহার করছে দুষ্কৃতীরা। ইন্টারনেট থেকে তথ্য চুরি করে ওই সিম কার্ডগুলি তোলা হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রে অন্তত পাঁচজন জড়িত রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে অনলাইনে আধার কার্ড, প্যান কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি আপলোড না করার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ অভিযুক্ত বিভিন্ন নম্বরে পেটিএম অ্যাকাউন্ট খুলে ‘ক্লায়েন্ট’দের এসএমএস করে জানাত, ওই ওয়ালেটে এককালীন রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৯৯৯ টাকা দিতে হবে। তাহলেই মিলবে মনের মতো পার্টনারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটানোর সুযোগ। লোভের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ কেউ টাকা পাঠাতেন। একবার টাকা পেয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিত দুষ্কৃতীরা। এভাবে গত কয়েক মাসে দু’হাজারেরও বেশি মানুষকে সেক্স পার্টনার খুঁজে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঠকানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গুগলে ‘ইলেকশন আইডি’ বলে সার্চ করলেই হাজার হাজার ভোটার কার্ডের ছবি ও তথ্য মেলে। বিভিন্ন প্রতারণা ওই পরিচয়পত্রের অবৈধ ব্যবহার করে মানুষকে ঠকাচ্ছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অখিলেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, একটি প্রাইভেট কোম্পানির নাম করে দুষ্কৃতীদের চক্র একাধিক সেক্স ওয়েবসাইট খুলে রেখেছে। ওই ওয়েবসাইটগুলি বন্ধ করতেও সাইবার পুলিশ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।