সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির উত্তরপ্রদেশে। বিভেদ ভুলে রামের মূর্তি নির্মাণে যোগীর পাশে দাঁড়াল মুসলিম সংগঠন। শুধু তাই নয় রামের মূর্তিটির জন্য রুপোর তির দান করতেও উদ্যোগী হয়েছে ‘শিয়া ওয়াকফ বোর্ড’।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে ১০০ ফুট উঁচু রামের বিগ্রহ গড়ার কথা ঘোষণা করেন যোগী। তাঁর এই সিদ্ধান্তে দানা বাঁধে বিতর্ক । যোগীর বিরুদ্ধে সরব হন আসাদউদ্দিন ওয়েসি থেকে শুরু করে একাধিক মুসলিম নেতা। এমনই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সমর্থন জানিয়েছেন শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি। তিনি জানান, রামের মূর্তিটির জন্য ১০টি রূপোর তিরও দান করতে ইচ্ছুক বোর্ড। ভগবান রামকে শ্রদ্ধা করেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। ওই তিরগুলি তাঁদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক।
[২০১৮ দিওয়ালির আগেই রামমন্দির: সুব্রহ্মণ্যম স্বামী]
নিজের চিঠিতে রিজভি বলেন, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেছেন রাম। তাই তাঁর হাতের তির সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের প্রতীক। যেভাবে রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করেছিলেন রাম, ঠিক সেভাবেই সন্ত্রাসবাদকে সমূলে শেষ করবে ভারত। তিনি আরও দাবি করেন, অযোধ্যার মন্দিরগুলিকে সন্মান প্রদর্শন করতেন নবাবরাও। উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ নিয়ে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে বিবাদ নতুন কিছু নয়। হিন্দুদের মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই দাবি করে শিয়া বোর্ড। প্রায় ৭০ বছর আগে আদালতের রায়ে বাবরি মসজিদের দখল হারায় শিয়া বোর্ড।
বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাম মন্দিরকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে যোগী সরকার। এবার ফের সেই ইস্যুতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে অযোধ্যায়। ২০১৮ সালে দিওয়ালির মধ্যেই অযোধ্যায় তৈরি হয়ে যাবে রামমন্দির বলে ঘোষণাও করে ফেলেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তবে কেন্দ্রে মোদি সরকার ও রাজ্যে যোগী সরকার থাকার পরও থমকে রাম মন্দিরের কাজ। ফলে হিন্দুত্ব ব্রিগেডের রোষের মুখে দু’জনেই। তাই আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতেই রাম মন্দিরের বদলে রাম বিগ্রহের ব্যবস্থা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[জনগণের করের টাকায় কেন রামের মূর্তি, যোগীকে প্রশ্ন আসাদউদ্দিনের]