সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিব সেনা ইউপিএ জোটের অংশ নয়। সাফ জানালেন শিব সেনার নেতারা। সম্প্রতি নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (CAA)কার্যকর করার প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দা্রস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই দলে শিব সেনার কোনও প্রতিনিধি ছিল না। যা নতুন করে বির্তক তৈরি করে। সেই বির্তক থামাতেই দলীয় মুখপত্র সামনায় শিব সেনা বিবৃতি দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
দীর্ঘ ৩০ বছরের জোট ভেঙে কংগ্রেস ও এনসিপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা।মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে লোকসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী)বিলের স্বপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন শিব সেনার সাংসদেরা। পরে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের আপত্তিতে নিজেদের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় শিব সেনা। পরে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির সময় ওয়াকআউট করে যান শিবসেনার সাংসদেরা। এরপরই নাগরিকত্ব বিল সম্পর্কে শিব সেনার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন :‘একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট’, সংবাদমাধ্যমের একাংশকে বিঁধলেন প্রণব]
বির্তক থামাতে এবার তৎপর শিব সেনা। এই প্রসঙ্গে শিব সেনার মুখপত্রে লেখা হয়েছে, “আমরা বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছেড়েছি। কিন্তু আমরা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের অংশ নই। দিল্লিতে আমাদের নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে।” তাঁরা আগেও জানিয়েছিলেন, নূন্যতম কর্মসূচির ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে তাঁরা। তবে এই দলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় শিব সেনার বারবার মতভেদ সামনে এসেছে।
[আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে বাঁধতে পারে যুদ্ধ! সেনাপ্রধান রাওয়াতের বার্তায় বাড়ছে উদ্বেগ]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সাভারকারকে নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। গণতন্ত্র বাঁচাও জনসভা থেকে কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমার নাম রাহুল গান্ধী, সাভারকর নয়। সত্যি কথা বলেছি, আমি ক্ষমা চাইব না। কোনও কংগ্রেস কর্মীও ক্ষমা চাইবে না। ক্ষমা যদি চাইতেই হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাইতে হবে। ওঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত শাহকে চাইতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ওঁদের ক্ষমা চাইতে হবে।” তাঁর মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন শিবসেনার নেতারা। এ বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, “শুধু এই বিষয় নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক বিষয়েই আমরা ভিন্ন মত পোষণ করি।”