Advertisement
Advertisement
অ্যাম্বুল্যান্স

কেরলে করোনা আতঙ্কে শিকার অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা! সংক্রমণের ভয়ে পাচ্ছেন না জলও

সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।

Shops dont want to sell water to ambulance driver in Kerala
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 21, 2020 6:35 pm
  • Updated:April 21, 2020 10:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা আঠোরা ঘণ্টা কাজ করেও সমাজের অধিকাংশ মানুষের রোষাণলে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে কাজ করেন এই চালকরা। তারাই কিনা সামান্য জল পাচ্ছেন না। সমাজের কুসংস্কারের জেরে সমস্যার মুখে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।

ছুটি ছাড়াই লকডাউনে টানা কাজ করে চলেছেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। বাড়ি ফেরারও কোনও পথ নেই। সংক্রমণের ভয়ে পরিজনেদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের ভরসা তাই কেবলমাত্র ফোন। তবে করোনা আবহে লাঞ্ছিত হচ্ছেন এই প্রথম সারির যোদ্ধারাই। কেরলে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। তবে করোনা আক্রান্তদের যাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন হাসপাতালে তাদের জল বিক্রি করতে চাইছে না খাবারের দোকানগুলি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “কেরলের এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক সামান্য চা চাইলে এলেও তাঁকে বিক্রি করতে রাজি হননি দোকানি। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্ষে আসার জন্য তাঁদের এইভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।” জানা যায় তাঁদের প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে দুটি করে দল রয়েছে। একজন চালক-সহ এই গাড়িতে থাকছেন আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী (EMT)। বছর ৩৩-এর কোচির এক নার্সকে এই টিমে রাখা হয়েছে।তাঁর কাজই হল অ্যাম্বুল্যান্সে থেকে ফোন পেলে নিকটবর্তী রোগীকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যাওয়া ও তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। রোগীকে বাড়ি থেকে নিয়ে নিতটবর্তী হাসপাতলে পৌঁছে না দেওয়া পর্য়ন্ত এই নার্সের তত্ত্বাবধানেই রোগীকে রাখা হয়। নার্স জানান, “এই কাজের মধ্যে আমি একটা চাপা উত্তেজনা অনুভব করি। এই অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার সময় কোনও উচ্চপদস্থ চিকিৎসক আমাদের কাছে থাকেন না পরামর্স দেওয়ার জন্য তাই সেই মুহুর্তে মাতা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাই তখন একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ায়। আর গাড়িতে থাকা মোবাইল অ্যাপে দেখতে থাকি পরে কোথায় যেতে হবে। থতক্ষণ না মোবাইলে আর কোনও ডাক আসছে ততক্ষণই শুধু রেস্ট পাই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১১০, আক্রান্ত ৩৩৮২]

কেরল সরকারের তরফ থেকে দেওয়া ১০৮টি অ্যাম্বুল্যান্সই সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। এই গাড়িতে একটা বিশ্রাম নেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ কাজের পর গাড়িত বিশ্রামও নিতে পারেন। প্রতিটি গাড়ির কাজের সময় ও লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে প্রতিটি গাড়িকে কাজ করতে হবে। মাসে মোট কাজের দিন হবে ২৬। তবে যেহেতু এই চালকরা জরুরী ভিত্তিতে কাজ করেন তাই প্রয়োজনে তাদের বিমান বন্দর থেকেও রোগীদের নিয়ে আসতে হতে পারে হাসপাতালে। প্রয়োজনে নিয়ে যেতে হয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। তবে মানুষেরে স্বার্থে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যারা কাজ করে চলেছেন দিনের পর দিন তাদের হেনস্তা করা হলে তাদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে সমাজই।

Advertisement

[আরও পড়ুন:ত্রুটিপূর্ণ র‌্যাপিড টেস্ট কিট, রাজ্যগুলিকে দু’দিন ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলল ICMR]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ