Advertisement
Advertisement

Breaking News

রূপানির গদি টলমল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে স্মৃতি ইরানি?

হিমাচলের মসনদে কে বসবেন?

Smriti Irani in race for next Gujarat CM!
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 19, 2017 5:31 am
  • Updated:September 18, 2019 4:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া। হিমাচলে ক্লিন সুইপ। দুই রাজ্যে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বেজায় সমস্যায় বিজেপি। দুই রাজ্যের পরবর্তী শাসকের নাম কী? এই প্রশ্নে বিজেপির নেতারা দেখিয়ে দিচ্ছেন মোদি-অমিত শাহকে। মোদির রাজ্য গুজরাটে কে মসনদে বসবেন তা নিয়ে নানা নাম ভাসছে। আর এখানে সর্বাগ্রে উঠে আসছে মোদির ‘প্রিয় পাত্রী’ স্মৃতি ইরানির নাম।

[বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধলেন গুজরাটবাসী, প্রতিক্রিয়া মমতার]

Advertisement

গুজরাটে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে স্মৃতির। তিনি এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছে। এমনকী গুজরাটি ভাষাতেও স্মৃতি দক্ষ। তারকা হওয়ার সুবাদে বেশ গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে তাঁর। প্রয়োজনে মোদির রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের মুখ তিনি হতেই পারেন। এমনই মত ঘুরছে দেশের রাজনীতিতে। তবে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে সব জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্মৃতি। তাঁর সাফ কথা, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে তিনি নেই। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় নামটি উঠে আসছে মনসুখ এল মাণ্ডব্যর। পতিদার সম্প্রদায়ের এই বিজেপি নেতা কৃষক আন্দোলনে পরিচিত নাম। তাই হার্দিক প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ইনিই গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস হতে পারেন। এর পরই উঠে আসছে ভাজুভাই বালার নাম। বর্তমানে কর্ণাটকের রাজ্যপাল হিসেবে রয়েছেন তিনি। শোনা গিয়েছে, বিজেপি উপরমহলের বেশ কাছের তিনি। গুজরাটের তিনি বেশ কয়েক বছর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। তবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির গদি যে টলমল তা অনেকটাই স্পষ্ট। জয়ের পর রূপানি জানান পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা অমিত শাহ জানাবেন। আর এক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সরোজ পাণ্ডেকে। খুব শিগগিরিই দু’জনে গান্ধীনগরে পৌঁছবেন। সেখানে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বড়দিনেই শপথ নিতে চলেছেন গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে আহমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে।

Advertisement

[গুজরাটে গড়রক্ষা বিজেপির, সেলিব্রেশনে শামিল মুসলিম মহিলারাও]

এদিকে হিমাচল প্রদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার পড়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের উপর। খুব শিগগিরিই শিমলা পৌঁছবেন তাঁরা। তাঁদের কাজটিও বেশ কঠিন। পাহাড়ি রাজ্যের ৬৮ আসনের মধ্যে ৪৪টিতে বিজেপি জয় লাভ করেছে। ফল বেশ ভালই। তবে সমস্যা একটাই, মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার প্রেম কুমার ধুমাল নিজের কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছেন। ধুমলের পরিবর্ত বাছতে নতুন করে মাথা ঘামাতে হচ্ছে বিজেপিকে। উঠে আসছে বিধায়ক জয়রাম ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নাম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, গুজরাটে বাজিমাত করতে না পারলেও বিজেপির সঙ্গে যে টক্কর দেওয়া যায় এই বিশ্বাসটা পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় বিরোধীদের মাত দিতে এখন থেকে ঘর গোছানোয় মন দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

[ভোটে হারলেই ইভিএমের উপর দোষ চাপান নেতারা, মত প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ