সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান কংগ্রেসে (Congress) ডামাডোল অব্যাহত। সোমবার সারাদিন ধরেই একে অপরকে দোষারোপ করে গেলেন দলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজস্থানে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অশোক গেহলটকেই (Ashok Gehlot) দায়ী করছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই, সভাপতি পদে আর তাঁকে রাখার পক্ষপাতী নন সোনিয়া-রাহুল (Rahul Gandhi)। শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, এই বিদ্রোহের বিন্দুমাত্রও টের পাননি তাঁরা। তাই অহেতুক সমস্যা তৈরি করার জন্য গেহলটের প্রতি বিরক্ত কংগ্রেস হাইকমান্ড। সোমবার নানা মহলে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন কংগ্রেস নেতারা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এখনই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কোনও রকম সিদ্ধান্ত নিতে চায় না কংগ্রেস নেতৃত্ব। আপাতত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। ততদিন পর্যন্ত রাজস্থান নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সোমবার কংগ্রেসের দুই পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া নিজেই, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
শুধু তাই নয়, বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবারের বৈঠকের পর মঙ্গলবার লিখিত ভাবে রাজস্থান সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। তবে জানা গিয়েছে, দলের মধ্যে ভাঙন মেনে নেবেন না সোনিয়া-রাহুল। সেই কারণেই কড়া হাতে দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে গান্ধী পরিবার।
তবে রাজস্থানের গেহলটের অনুগামীরা ক্রমেই সুর চড়াচ্ছেন। ২০২০ সালে শচীন পাইলটের নেতৃত্বে বিজেপিতে চলে যেতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা, বারবার সেই প্রসঙ্গ টেনে আনছেন তাঁরা। গদ্দারদের নেতার আসনে বসানো যাবে না, এই দাবিতে অনড় তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করেছেন শশী থারুর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, সভাপতি পদের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন গেহলট। কিন্তু রাজস্থানের বিদ্রোহের ফলে সেই জায়গা থেকে আপাতত তিনি ছিটকে গিয়েছেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.