নৌহাট্টা এলাকার জামিয়া মসজিদের বাইরে ঘটনাটি ঘটে। সারা রাত মসজিদে নমাজের পর সাধারণ মানুষ যখন বেরিয়ে আসছিলেন, তখনই এই পুলিশ আধিকারিক ছবি তুলছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ঘিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। বিবস্ত্র করে চলে মারধর। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে শনাক্তকরণের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শ্রীনগরের পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর ওই আধিকারিক এই এলাকাতেই নিজের ডিউটি করছিলেন। নিজের আত্মরক্ষার জন্য শূন্যে গুলি ছোড়েন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী হামলার পরেই পালিয়ে যায়। তবে ওই উন্মত্ত জনতাকে তারা সামলাতে পারত না বলেই মনে করছে পুলিশ। এদিকে, আয়ুব পন্ডিত ওই মসজিদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কর্তব্যরত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই তাঁকে চিনত বলে খবর। তারপরেও এই হামলা কেন চলল, তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহিরাগতরা এই হামলায় যুক্ত থাকতে পারে বলে বলেও মনে করছেন পুলিশকর্তারা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশি ব্যারিকেডের উপরও ক্ষোভ উগরে দেয় উন্মত্ত জনতা। ভেঙে ফেলা হয় পুলিশ পিকেটের জন্য রাখা সরঞ্জাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে। কাশ্মীরের সাতটি থানা সংলগ্ন এলাকায় কড়া নজরদারি চলছে ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ডাকা প্রতিবাদ দিবসের একদিন আগে রাস্তায় নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভ নতুন করে অস্থির করে তুলেছে উপত্যকার পরিস্থিতি। পুলওয়ামা জেলায় পুলিশের হাতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর যে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে, এর আগেও পুলিশকে লক্ষ্য করে সে পাথর ছোড়ে।