সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা লাগাতার গুলির লড়াইয়ের পর সেনার গুলিতে মৃত্যু হল দুই জঙ্গির। মৃত জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল শ্রীনগরের করণ নগরের একটি নির্মীয়মাণ ভবন। সোমবার থেকে ওখানেই লুকিয়ে ছিল দুই জঙ্গি। লাগোয়া সিআরপিএফ ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল দুই জঙ্গি। সেই সময়ই নিরাপত্তাকর্মীদের কড়া প্রতিরোধের সামনে পড়ে যায় দুজন। সেনার নিশানা থেকে বাঁচতে কাছের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আত্মগোপন করে দুই জঙ্গি। তারপরই তাদের পাকড়াও করতে সেনার তরফে শুরু হয় গুলিবর্ষণ। পালটা গুলি ছুড়তে থাকে জঙ্গিরাও। গোটা একদিন গুলিবর্ষণের পরে অবশেষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হল। থামল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই।
এই প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি বেদ জানিয়েছেন, মৃত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ করণ নগরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা করে ছিল দুই জঙ্গি। দুজনের হাতেই ছিল একে-৪৭ রাইফেল। ক্যাম্পের এক নিরাপত্তারক্ষীর চোখে পড়ে যায় দৃশ্যটি। বড়মাপের হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে ততক্ষণে গুলি বর্ষণ শুরু করেছে জঙ্গিরা। এরপরেই জঙ্গিদের গুলির পালটা জবাব দিতে আসরে নামে সেনাবাহিনী। সেনার ঘেরাটোপে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত। বুঝতে পেরেই লাগোয়া নির্মীয়মাণ ভবনে গা-ঢাকা দেয় দুজনে। তারপর থেকেই লাগাতার গুলির লড়াই শুরু। এই সংঘর্ষে এক সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী।
ঘটনাস্থলের অদূরেই শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালের পাশে। আটক জঙ্গিকে উদ্ধারের জন্য যেখানে গত ৬ তারিখে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রায় ফিল্মি কায়দায় নিরাপত্তারক্ষীদের ঘায়েল করে এক জঙ্গিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। দুদিন আগেই জম্মুর সুঞ্জওয়ান সেনাক্যাম্পে হামলা চালায় চার সশস্ত্র জঙ্গি। ৩০ ঘণ্টা টানা সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে চারজনেরই মৃত্যু হয়। এই হামলায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ সেনা জওয়ান। এক সাধারণ নাগরিকও নিহত হন। হামলায় ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সেনাকর্মীদের পরিবারের এক মহিলা ও বাচ্চা-সহ আহতদের তালিকায় রয়েছেন সেনা জওয়ানরাও। সেনা ক্যাম্পে হামলাকারী জঙ্গিরা জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। এমনটাই দাবি করেছিল ভারত। যদিও হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর। তারপরেই মনে করা হচ্ছে লস্কর-জইশের যোগসাজশেই ঘটেছে হামলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.