Advertisement
Advertisement

গো-বিধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে রাজ্য, সুর নরম বিজেপির

গো-ফরমানের প্রতিবাদে দলত্যাগ মেঘালয়ের প্রভাবশালী বিজেপি নেতার।

State can take its own decision on cow row, BJP clarifies
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 2, 2017 3:37 am
  • Updated:June 2, 2017 3:37 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে বিতর্কের মধ্যেই গো-হত্যা বিধি নিয়ে সুর অনেকটাই নরম করল বিজেপি৷ দলের অন্যতম নেতা জানিয়েছেন, গো-হত্যা নিয়ে রাজ্যগুলির সিান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও জানিয়েছেন যে, পশু হত্যার সঙ্গে রাজ্যের আইনের সঙ্গে কেন্দ্রের নির্দেশিকার কোনও সম্পর্ক নেই৷ কারণ, পশুহাট থেকে হত্যার জন্য গবাদি পশু কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ ওই হাট মূলত চাষিদের জন্য৷ পশু ব্যবসায়ীদের জন্য নয়৷

[দিল্লিতে তীব্র ভূমিকম্প, আতঙ্কে বাসিন্দারা]

এরই মধ্যে প্রতিবাদের নামে প্রকাশ্যে বাছুর হত্যার জেরে কান্নুরে আট যুব কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি, গো-মাংস খাওয়ার ঘোষণা করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ‘মেক মাই ট্রিপ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কেয়ুর জোশী৷ টুইটারে নিজেকে মোদি-সমর্থক বলে জানিয়েও খাদ্য স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন৷ বুধবার রাতেই টপ ট্রেন্ডিং হয়ে যায় ‘বয়কটমেকমাইট্রিপ’৷ চাপের মুখে ক্ষমা চেয়ে জোশী টুইটটি মুছে দেন৷

Advertisement

গত সপ্তাহে পশুহাট থেকে কেনা গবাদি পশু হত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক৷ পশুদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ নিয়ন্ত্রণ আইন এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়৷ জেটলি এ বিষয়ে বলছেন, বিভিন্ন রাজ্যে পশুহত্যা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট আইন রয়েছে৷ কেন্দ্রের নির্দেশিকার সঙ্গে সেগুলির কোনও সম্পর্ক নেই৷ কারণ, সংবিধানের ৪৮ নম্বর ধারায় নির্দিষ্ট কয়েকটি পশুকে রক্ষার বিষয় উল্লিখিত আছে৷ তার মধ্যে গরুও আছে৷ কিন্তু রাজ্যগুলিকে গো-হত্যা রোধে আলাদা করে আইন আনতে বলা হয়েছিল৷ বহু রাজ্য সেই আইন আনেনি৷

Advertisement

প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন মেঘালয়ের দায়িত্বে থাকা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নলিন কোহলি৷ বিতর্ক এড়াতে তিনি মেনে নিয়েছেন যে, ওই রাজ্যের সিংহভাগ বিজেপি নেতা গরুর মাংস খান৷ তাই গো-হত্যা নিষিদ্ধ করবে কি না, তা নিয়ে রাজ্যগুলি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে৷ তাঁর মত, কেন্দ্র এ বিষয়ে স্পষ্টভাবেই বক্তব্য জানিয়েছে৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় মানুষ গো-মাংস খান৷ স্থানীয় মানুষের খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর রেখেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি গো-হত্যা নিয়ে আইন আনা বা না আনার কথা ভাববে৷ কেন্দ্রের এ বিষয়ে কিছু বলার নেই৷ কোহলির কথায় স্পষ্ট, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতেও সংশ্লিষ্ট সরকার গো-মাংস নিষিদ্ধ করা নিয়ে চরম পথে হাঁটবে না৷ যা নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকার পরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল৷ যদিও কোহলির আশ্বাসে চিঁড়ে ভিজছে না৷ বিজেপির তুরা শাখার প্রাক্তন সভাপতি বার্নার্ড মারাক বৃহস্পতিবার দল ছেড়েছেন৷ তাঁর দাবি, “আমি আগে একজন খ্রিস্টান ও গারো৷ পরে দলের কর্মী৷ বিজেপি স্থানীয় মানুষের আবেগে ঘা দিয়েছে৷ উপজাতি মানুষের নিজস্ব রীতি রয়েছে৷” শুধু গারো নয়, মেঘালয়ের স্থানীয় খাসিয়া, জয়ন্তিয়া গোষ্ঠীর মধ্যেও বহু মানুষ খ্রিস্টান৷ তাঁরা গো-মাংস খেতে অভ্যস্ত৷ বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তাকাম সঞ্জয়ও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ