সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে অস্বীকার করলে ‘অভিযুক্ত’ ব্যক্তির ভোটদানের অধিকার কেড়ে নেওয়া হোক। এবার এমনই দাবি তুলল শিব সেনা। এর আগে শিব সেনার তরফেই দাবি করা হয়েছিল, বন্দে মাতরম গাওয়া বাধ্যতামূলক করতে আইন আনুক কেন্দ্র।
দলের মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরেকে উগ্র হিন্দুত্ব প্রচারের অভিযোগে ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়। কিন্তু এবারের সমস্যা আরও গুরুতর। যাঁরা ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে চান না, তাঁরা অনেক বেশি দোষে দোষী।
[হামলা করলে মৃত্যুমিছিল দেখবে চিন, সুর চড়াল কেন্দ্র]
১৯৯৫-এ ভোটে কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বাল ঠাকরেকে দোষী সাব্যস্ত করে। সেই মোতাবেক রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করা হয়, বাল ঠাকরেকে যেন আগামী ছ’বছর কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার না দেওয়া হয়। এবার সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পালটা ঘুঁটি সাজিয়েছে শিব সেনা। দলীয় মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, বন্দে মাতরম না গাইতে চাওয়াটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যাঁরা ওই গান গাইতে অস্বীকার করবেন, তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হোক।
শিব সেনার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গো-রক্ষার প্রতি প্রবল সচেতন। অথচ, বন্দে মাতরম গাইতে যাঁরা অস্বীকার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নেতারা মুখ খুলছেন না। ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়ার জন্য আইন চাওয়াটাই লজ্জার, জানাচ্ছে ‘সামনা’। এমন আইন বহুদিন আগেই হওয়া উচিত ছিল।
সম্প্রতি বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা BMC একটি নোটিস জারি করে শহরের সব পৌরসভা স্কুলগুলিতে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এই নোটিসকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে সেই বিতর্কে মোটেও কান দিচ্ছে না শিব সেনা। দলের তরফে পালটা অভিযোগ করা হয়েছে, ঔরঙ্গাবাদের একটি স্কুলেরর সাধারণ সমিতির বৈঠকে একটি মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা জাতীয় সংগীত গাইতে অস্বীকার করে। শিব সেনার অভিযোগ, কিছু অশিক্ষিত মুসলিমের জন্য গোটা দুনিয়ায় মুসলিমদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।