Advertisement
Advertisement

Breaking News

গর্ভে অন্যের সন্তান, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই এই মায়েদের

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থের প্রয়োজনে ভাড়া দিয়েছেন গর্ভ।  কিন্তু বেআইনি চক্রের পাল্লায় পড়ে প্রায় দিশেহারা অবস্থা ৪৮ জন সারোগেট মাদারের। হায়দরাবাদে পুলিশি অভিযানের পর আপাতত কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তাঁদের। Advertisement [ সম্পত্তিতে আধার যোগের নির্দেশিকা গুজব, জানাল পিআইবি ] Advertisement কর্মাশিয়াল সারোগেসি নিষিদ্ধকরণের বিল ঝুলে রয়েছে সংসদে। এখনও তা আইনে পরিণত হয়নি। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম […]

Stuck in red tape 48 Surrogate mothers have nowhere to go
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 20, 2017 3:29 am
  • Updated:June 20, 2017 3:36 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থের প্রয়োজনে ভাড়া দিয়েছেন গর্ভ।  কিন্তু বেআইনি চক্রের পাল্লায় পড়ে প্রায় দিশেহারা অবস্থা ৪৮ জন সারোগেট মাদারের। হায়দরাবাদে পুলিশি অভিযানের পর আপাতত কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তাঁদের।

সম্পত্তিতে আধার যোগের নির্দেশিকা গুজব, জানাল পিআইবি ]

Advertisement

কর্মাশিয়াল সারোগেসি নিষিদ্ধকরণের বিল ঝুলে রয়েছে সংসদে। এখনও তা আইনে পরিণত হয়নি। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে সারোগেসি বা গর্ভ ভাড়া দেওয়া দেশে বেআইনি। তবে সে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। পুলিশের নাকের ডগাতেই বিভিন্ন শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে সারোগেসি সেন্টার। যাদের টার্গেটে থাকেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলারা। গর্ভ ভাড়া দিয়েই অর্থ উপার্জনের পথে হাঁটেন অনেকেই। এ কারণে কম নির্যাতনও সহ্য করতে হয় না মহিলাদের। রীতিমতো বিপজ্জনক ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁদের সন্তান ধারণের উপযোগী করে তোলা হয়। যাতে জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত থাকতে পারে। তবু পেট বড় বালাই। আর তাই পেটে অন্যের সন্তান ধারণ করেই রুটি রুজি নির্ধারণ করেন দেশের বহু মহিলা। তাঁদের কর্মস্থল হয়ে ওঠে এই বেআইনি সারোগেসি সেন্টারগুলিই। হায়দরাবাদে এরকমই এক সেন্টারে পুলিশি অভিযানে বিপাকে পড়লেন তাঁরা।

Advertisement

মাথায় ঢুকছে না GST? বুঝিয়ে দেবেন বিগ বি ]

বানজারা হিলসের কিরণ ফার্টিলিটি সেন্টারে অভিযান চালায় হায়দরাবাদ পুলিশ। দেখা যায়, মাতৃত্ব বিকোচ্ছে মোটে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে। প্রায় ৪৮ জন মহিলাকে ন’মাসের জন্য আবাসিক করে রাখা হয়েছে ওই সেন্টারে। সারোগেসির কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না সেক্ষেত্রে। প্রশাসন ও পুলিশকে প্রায় বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ব্যবসা করে চলেছিল সেন্টারটি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভাঙে এই সারোগেসি ব়্যাকেট । কিন্তু বিপাকে পড়েন প্রায় ৪৮ জন মহিলা। প্রত্যেকেরই গর্ভে রয়েছে অন্যের সন্তান। যাঁদের সন্তান তাঁরা গর্ভে বহন করছেন, তাঁদের অনেকেই প্রবাসী ভারতীয় বা এনআরআই বা বিদেশি। এখন পুলিশ পর্যন্ত ঘটনার জল গড়ানোর পর তাঁরা এই সন্তান নিতে চাইবেন কিনা তাও নিশ্চিত নন ওই মহিলারা। কেননা তাহলে বেআইনি চক্রে মদত দেওয়ার দায় বইতে হবে ওই ব্যক্তিদের। ফলে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করলেও আপাতত ঘোর বিপাকে ওই মহিলারা। হায়দরাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মহিলাদের কোথায় রাখা হবে বা তাঁদের গর্ভের সন্তান সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা একমাত্র জেলাশাসকই ঠিক করতে পারবেন।

জানেন, কেন রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দকে বাছল বিজেপি? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ