সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের পিকনিক। আর সেখানে কিনা পড়ুয়াদের মদ্যপান করালেন খোদ প্রধান শিক্ষক! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে কর্ণাটকের তুমকুরুর একটি সরকারি স্কুলে। যা গোটা দেশে তৈরি করেছে নয়া বিতর্ক। অবশ্য শুধু প্রধান শিক্ষক নয়, এহেন কুকীর্তিতে তাকে সাহায্য করেছে অপর দু’জন শিক্ষকও।
[শরীরী খেলায় কোথায় গলদ? উত্তর দেবে আপনার রাশি]
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ধর্মস্থালা নামে একটি জায়গায় পিকনিকে গিয়েছিল শিক্ষকরা। প্রথমে কয়েকটি ধর্মীয় স্থানে ঘোরার পর একটি জায়গায় স্কুলের পড়ুয়ারা খেলাধুলা, নাচগান করতে থাকে। এই সময় কয়েকজন পড়ুয়া ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং জলের খোঁজ করতে থাকে। ওই সময়ই প্রধান শিক্ষক সচিদানন্দের হাতে একটি জলের বোতল দেখে তারা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সচিদানন্দ এবং অপর দুই শিক্ষক রাঠোর ও মুজ্জাম্মিল প্রথমে ওই বোতলেই জলের মধ্যে মদ মিশিয়ে খেয়েছে। এরপর তাদের জল খাওয়ার জন্য সেই বোতলটাই দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কুলের এক পড়ুয়া জানিয়েছে, ‘আমাদের প্রধান শিক্ষক পুরোপুরি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। আমরা রাঠোর এবং মুজাম্মিল স্যারকে তাঁদের বোতল থেকে একটু জল দিতে বলি। তাঁরা আমাদের জলের বোতলটি দিলেও তাতে যে মদ মেশানো ছিল সেকথা জানাননি। আমরা ওই জলটাই খেয়ে ফেলি। এরপরই কয়েকজন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কয়েকজন পড়ুয়া বমিও করে।’
[রাম সেতু কি মানুষেরই তৈরি? নয়া ছবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা]
পিকনিক থেকে ফেরার পরই ওই পডু়য়ারা বাড়িতে গোটা ঘটনার কথা জানায়। এরপরই স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিন শিক্ষকের নামে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও মুজাম্মিল সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানায়, ‘সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। আমি বা বাকি দুই শিক্ষকের কেউই ওই দিন মদ্যপান করিনি। এ ধরনের অভিযোগের কোনও যুক্তি নেই।’ এদিকে, সংবাদমাধ্যমে ঘটনার কথা প্রকাশিত হতেই তড়িঘড়ি ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।