সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝআকাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার চারদিন পর অসম-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ। তবে হদিশ পাওয়া যায়নি দুই পাইলটের। গভীর জঙ্গল ও অনুকূল আবহাওয়ার জন্য ব্যাহত হয় উদ্ধারকার্য। অবশেষে মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দল খুঁজে পেল এক পাইলটের রক্তমাখা জুতো, অর্ধেক পুড়ে যাওয়া একটি প্যানকার্ড ও একটি ওয়ালেট। যদিও এখনও চালকদের দেহের সন্ধান মেলেনি।
[‘ফ্যাট বয়’ উৎক্ষেপণ করে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি ইসরোর]
এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথ ভাবে এই উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। রবিবার বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়। তবে সেটি বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার কারণ জানতে কিছুটা সময় লাগবে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ অসমে তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে নিয়মমাফিক উড়ান ভরেছিল বিমানটি। উড়ান ভরার কিছুক্ষণ পরই সকাল প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তারপরই অসম ও অরুণাচল প্রদেশ জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক উদ্ধার অভিযান। উল্লেখ্য, ভারত-চিন সীমান্তের সুরক্ষায় তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ৩৬টি যুদ্ধবিমান। রুশ নির্মিত সুখোই-৩০ ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম অত্যাধুনিক বিমান। যে কোনও আবহাওয়াতেই কার্যক্ষম এই বিমানে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘BVR’ মিসাইল, যা দৃষ্টিসীমার বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়াও শূন্যে ও শূন্য থেকে মাটিতে হামলা চালানোর জন্যও বিমানটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র। ১৯৯০ সালে প্রথম ভারতের হাতে আসে এই বিমান। এপর্যন্ত প্রায় ছ’টি সুখোই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের ১৫ তারিখ রাজস্থানের বারমেরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি সুখোই বিমান।
[কুলভূষণের থেকে মিলেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রকের]