Advertisement
Advertisement

বাবরি বিতর্ক নিষ্পত্তিতে তৎপর সর্বোচ্চ আদালত, চূড়ান্ত শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি

২০১৯ সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত মামলা স্থগিতে নারাজ সর্বোচ্চ আদালত।

Supreme Court fixed the Ayodhya dispute matter for further hearing on February 8, 2018

২০১৯ সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত মামলা স্থগিতে নারাজ সর্বোচ্চ আদালত।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 5, 2017 11:14 am
  • Updated:September 21, 2019 11:44 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল রামমন্দির বিতর্কের শুনানি। কেন এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে সর্বোচ্চ আদালত, সে প্রশ্ন তোলেন কপিল সিব্বলের মতো আইনজীবী। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এটা যে স্পর্শকাতর বিষয়, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কোথাও থেকে তো শুরু করতেই হবে। আপাতত মামালার পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি।

নীল ছবির চেয়েও গুজরাটে বেশি চাহিদা হার্দিকের ‘সেক্স’ ভিডিওর ]

Advertisement

বুধবারই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পঁচিশ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ঠিক তার আগের দিনই এই মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হয়ে সওয়াল করছিলেন কপিল সিব্বল, রাজীব ধাওয়ান ও দুষ্মন্ত দাভের মতো দুঁদে আইনজীবীরা। গোড়াতেই কপিল সিব্বল সর্বোচ্চ আদালতকে জানায়, বাবরি বিতর্ক বড়সড় একটা বিষয়। এ নিয়ে বাইরে বিরাট আলোড়ন পড়ছে। তার প্রভাব ও প্রতিক্রিয়াও সাংঘাতিক। সুতরাং এ নিয়ে যেন কোনওরকম তাড়াহুড়ো না করা হয়। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মেনে নেয় যে, এটি বড় একটি বিষয়। কিন্তু আদালতের দাবি, মামলা তো কোথাও থেকে একটা শুরু করতেই হবে। থেমে থাকলে চলবে না। এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আবদুল নাজির। তাঁদের সামনে এরপর সিব্বল জানান, এসএআই-র সমস্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়নি। মোট ১৯,৫৯০টি নথি জমা পড়ার কথা। তাঁর দাবির বিরোধিতা করেন, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, সমস্ত নথি অনুবাদ সমেত আদালতে পেশ করা হয়েছে।

Advertisement

২০১০ সালের এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে মোট ১৩টি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলিই বিবেচনা করে দেখবে সর্বোচ্চ আদালত। যদিও কপিল সিব্বলদের দাবি, তিন বিচারপতির বেঞ্চ নয়। এই মামলার ক্ষেত্রে অন্তত সাত বিচারকের বেঞ্চ হওয়া বাঞ্ছনীয়। ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত মামলা স্থগিত রাখারও দাবি ওঠে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রাম লালার পক্ষে লড়া আইনজীবীরা তাতে ঘোর আপত্তি জানান। তাঁদের মতে, এ প্রস্তাব অযৌক্তিক। নারাজ হয় আদালতও। বিভিন্ন কারণে মামলার ক্ষেত্রে আরো খানিকটা সময় চান কপিল সিব্বল। তা মেনে নিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এর মধ্যে আইনজীবীদের একসঙ্গে বসে সমস্ত নথি তৈরি রাখতে অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য শুরু হয়েছে যজ্ঞ। বাবরি ধ্বংসের পঁচিশ বছর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ