Advertisement
Advertisement

Breaking News

তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি ১৯ মে-র মধ্যে

শুনানির জন্য প্রয়োজনে আদালতের গরমের ছুটিও বাতিল করা হতে পারে৷

Supreme Court sets May 11-19 to finish hearings on triple talaq
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 31, 2017 4:26 am
  • Updated:December 23, 2019 5:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ থেকে ১৯ মে-র মধ্যেই তিন তালাক নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে৷ প্রয়োজন পড়লে বাতিল করা হতে পারে গরমের ছুটিও৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালীন অবকাশের মধ্যেই এই মামলার শুনানি হবে সাংবিধানিক বেঞ্চে৷ মুসলিম মহিলাদের একটি বড় অংশ তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন৷ কিন্তু অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসনাল ল’ বোর্ড দাবি জানায়, তিন তালাক প্রথার উল্লেখ কোরানে রয়েছে। আর তাই  পাল্টা বিরোধিতা করে তারা৷

[উত্তরপ্রদেশের পর উত্তরাখণ্ডেও নিষিদ্ধ বেআইনি মাংসের দোকান]

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর তিন তালাক এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের বহুবিবাহ সংক্রান্ত মামলাটিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন৷ বিচারপতি খেহর বলেন, “প্রয়োজনে শনি ও রবিবার ছুটির দিনেও এই মামলার শুনানি হতে পারে৷ এমনকী, গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার শুনানির জন্য প্রয়োজনে আদালতের গরমের ছুটিও বাতিল করা হতে পারে৷” একই সঙ্গে বিষয়টি নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে তিনি বলেন, “এখন কেন্দ্রকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সহযোগিতা করবে কি না৷” রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ মনে করছে, তিন তালাক নিয়ে আদালতের কড়া মনোভাবে বাড়তি অক্সিজেন পাবে বিজেপি৷ বিজেপির শীর্ষ নেতারা এই বিষয়ে মুসলিম মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ বহু ইসলামিক দেশেও তিন তালাক প্রথা এখন অবলুপ্ত বলে দাবি করেছে বিজেপি৷ উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জয়ের পিছনেও তিন তালাক বিরোধী প্রচারের খানিকটা প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

Advertisement

[ভোটের সময় আগাম ফলাফল প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের]

তিন তালাক সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে এদিন আদালতে বেশ কড়া মনোভাবই দেখান প্রধান বিচারপতি৷ এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার কথা বলেন খেহর৷ প্রধান বিচারপতি বলেন, “ছুটিতেও আমি কাজ করার জন্য তৈরি আছি৷ এর আগের দু’টি ছুটিতে আমি কাজ করেছি৷ এবারও আমি চাই, ছুটিতে এই মামলার শুনানি চলুক৷” খেহরের এই বক্তব্যের পর সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি বলেন, “গ্রীষ্মাবকাশে এই মামলার শুনানিতে কিছু অসুবিধা আছে৷ কারণ আসন্ন গ্রীষ্মাবকাশে পৃথক দু’টি সাংবিধানিক বেঞ্চে দু’টি আলাদা মামলার শুনানি আগে থেকেই নির্ধারিত আছে৷” রোহতগির ওই বক্তব্য শোনার পর দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, “এখনই এই মামলার শুনানি না হলে বিষয়টি আরও এক বছর ঝুলে থাকবে৷ সে ক্ষেত্রে আপনারা আদালতকে দোষ দিতে পারবেন না৷ বলতে পারবেন না যে, মামলাটি ঝুলে রয়েছে৷ এখন আপনারাই জানান, বিষয়টি নিয়ে আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন কি না?” আগামী ১১ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷ তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দু’ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি খেহর৷

Advertisement

[‘কাশ্মীরি যুবকদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান থেকেই’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ