সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশবাসীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। নাগরিকদের অনুরোধ তিনি কিছুতেই ফেলতে পারেন না। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অত্যন্ত সক্রিয় এবং জনপ্রিয়। দেশবাসীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে ডিজিটাল মাধ্যমকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। তিনি সুষমা স্বরাজ। তাঁর থেকে সাহায্য চাইলে খালি হাতে ফিরতে হয় না কাউকেই। সম্প্রতি সে প্রমাণ ফের মিলল।
[কারগিলে লড়েছিলেন বন্দুক হাতে, এবার পাক হ্যাকারদের ত্রাস সেনা অফিসার]
ভারতের মেয়ে গীতাকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নজির গড়েছিলেন সুষমা। ফের এক ভারতীয় নাগরিককে তাঁর প্রেমের মর্যাদা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। দুই দেশের মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষে সীমান্ত সর্বদাই উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতেও সুষমা যা করলেন, তা নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো। পাক প্রেমিকার সঙ্গে চার হাত এক হল ভারতীয় প্রেমিকের। আর পুরোটাই হল বিদেশমন্ত্রীর সাহায্যে। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২৭ বছরের নকি আলি খান নামের লখনউয়ের বাসিন্দা প্রেমে পড়েছিলেন পাক কন্যা সবাহাত ফতিমার। গত দু’বছর ধরে চলছিল প্রেম। কিন্তু ভিসা সমস্যায় কোনওভাবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারছিল না এই জুটি। জট কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হন তাঁরা। নাহ, এবারও খালি হাতে ফিরতে হয়নি। নিজের উদ্যোগেই সবাহাতের ভিসার ব্যবস্থা করে দেন সুষমা। ফলে গত শুক্রবারই লখনউয়ে নিকা হয় তাঁদের।
Dear Mam @SushmaSwaraj I really need your help, I beg please help me by providing Indian visa for my wedding function. Give the response
— Sabahat Fatima (@SabahatFatima12) November 5, 2017
[রাতভর কুয়োয় পড়ে থেকেও দিব্যি সুস্থ ১ দিনের শিশু!]
বিদেশমন্ত্রীর তৎপরতায় আপ্লুত ও কৃতজ্ঞ নবদম্পতি। নকি আলি বলছেন, “আমরা দু’জনই সুষমা স্বরাজের কাছে ঋণী। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি দেশের সরকার সবাহাতকে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার ছাড়পত্রও দিয়ে দেবে। রাজনীতি ও প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে সীমান্তের দুই পারের নাগরিকদেরই সাহায্যের জন্য একাধিকবার এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে সুষমাকে। এবার তাঁর জন্য নতুন জীবন শুরু করতে পারলেন দুই দেশের দুই নাগরিক। তাঁদের বিয়ে দিতে পেরে নিজেও খুশি বিদেশমন্ত্রী।
Mam thanks a lot from the bottom of my heart, I really always be thankful , you gave me the best gift of my life.
— Sabahat Fatima (@SabahatFatima12) November 20, 2017