সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকঢাক গুড়গুড় শেষ। এবার রাম মন্দির নিয়ে সরসারিই মুখ খুললেন বিজেপি নেতারা। এগিয়ে এলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ঘোষণা করে দিলেন, পরের দিওয়ালির উদযাপন হবে নবনির্মিত রাম মন্দিরেই। এ নিয়ে আর কোনও ধোঁয়াশা নেই।
[ ভরদুপুরে অধ্যাপিকার শরীর স্পর্শ করে হস্তমৈথুন, ফের কাঠগড়ায় দিল্লি ]
মন্দির মামলা এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। শুনানি শুরু হওয়ার কথা শিগগিরি। তার আগেই আসরে নেমেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএস। একরকম দিনক্ষণই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সংগঠনের নেতারা। প্রশ্ন উঠছিল, বিচারাধীন বিষয়ে কী করে এরকম মন্তব্য করছেন? কেনইবা শাসকদল তাতে লাগাম টানছে না? সামনে গুজরাট নির্বাচন। উন্নয়ন ইস্যু যতই থাকুক, ধর্ম জিগির যে উঠবে তা অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। উঠেওছে। বিজেপি অবশ্য এ ব্যাপারে ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি অবলম্বন করেছিল। কিন্তু এবার সব রাখঢাকের পালা শেষ। মন্দিরের কথা শোনা গেল প্রত্যয়ী স্বামীর মুখে।
[ মামলা ছাড়তে স্ত্রীকে হেনস্তা পুলিশের, প্রদ্যুম্ন কাণ্ডে বিস্ফোরক আইনজীবী ]
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “অক্টোবরের মধ্যেই রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে। জিনিসপত্র সব তৈরি আছে। প্রস্তুতিও সারা। এবার খালি তৈরি করার পালা।” এ বিষয়ে নতুন কোনও আইন তৈরির প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, নরশিমা রাও সরকারই হলফনামায় মন্দিরের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছিল। ফলে ওখানে যে মন্দির ছিল এবং জমি যে হিন্দুদেরই তা নিয়ে কোনও সংশয়, দ্বিধা নেই। তাঁর প্রত্যয়ী ঘোষণা, নতুন আইন আনলে আনাই যায়। কিন্তু তার তেমন প্রয়োজন নেই। কেননা এ মামলা যে হাসতে হাসতে জিতে যাওয়া যাবে, এমনটাই বিশ্বাস তাঁর। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের বাধাও ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এই ভূমিতে প্রার্থনার অধিকার হিন্দুদেরই। এবং তা মৌলিক অধিকার। মুসলিমদের এ নিয়ে কোনও অধিকার নেই।
[ মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শহিদ কন্যাকে পুলিশি হেনস্তা, ভাইরাল ভিডিও ]
তবে গুজরাট নির্বাচনের মুখে স্বামীর এ ধরনের ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারের আগেই কী করে জনপ্রিতিনিধিরা রায় ঘোষণা করে দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি নির্বাচন জিততে বিধি ভাঙতেও তৈরি শাসকদলের একাংশ। প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনও বাক্যব্যয় করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.