Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুক্তি পাবে রাজীব হত্যাকারীরা? রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তামিলনাড়ু

প্রহর গুনছে সাত হত্যাকারী৷

 Tamil Nadu Cabinet to decide Sunday on release of Rajiv Gandhi convicts
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 9, 2018 9:44 am
  • Updated:September 9, 2018 9:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের ভবিষ্যৎ কী? সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে রবিবার এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভা৷ বসতে চলেছে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক৷ সেখানেই ঠিক হবে হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে, নাকি মিলবে শাস্তি৷ সম্পূর্ণ বৈঠক পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে৷

[ভিড়ে মিশে ‘মুখোশধারী’, কাশ্মীরে প্রমাদ গুনছে পাথর নিক্ষেপকারীরা  ]

Advertisement

সূত্রের খবর, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে কারাদণ্ড ভোগ করা সাত হত্যাকারীদের সম্ভবত মুক্তি দিতে পারে তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’ সরকার৷ তবে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ মাথায় রাখতে হবে তাঁদের৷ ২০১৫-তে তামিলনাড়ু সরকার সাতজন রাজীব হত্যাকারীর মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছিল, মামলাটি যেহেতু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর খুন সংক্রান্ত, তাই কড়া পদক্ষেপ করা উচিত৷ এরপর ২০১৬-তে আরও একবার তামিলনাড়ু সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। শীর্ষ আদালত এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মতামত জানাতে বলে। তামিলনাড়ুর সরকারের মুক্তির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে তারা জানায়, রাজীবের হত্যাকারীদের মুক্তি দিলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে৷ ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে৷ ফলে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷

Advertisement

[‘উর্দিকে মিস করব’, দায়িত্ব থেকে সরানোর পর আবেগতাড়িত এসপি বেদ]

যদিও বাবার হ্ত্যাকারীদের তাঁরা ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী৷ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, প্রথমে হত্যাকারীদের উপর ক্ষুব্ধ থাকলেও, এখন তাঁদের আর ক্ষোভ নেই৷ সাতজনকে ক্ষমা করেছেন তিনি ও তাঁর পরিবার৷ উল্লেখ্য, ১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ু শ্রীপেরাম্বুদুরে নির্বাচনী প্রচারের সময় এক মহিলা মানববোমার বিস্ফোরণে নিহত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব। প্রাণ হারান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী-সহ ১৬ জন। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়, পেরারিভালান, মরুগান, সান্তন, নলিনী শ্রীহরণ, রবার্ট প্লাওস, জয়কুমার ও রবীচন্দ্রন। এরা প্রত্যেকেই জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই-র সদস্য ছিল৷ এই ভয়ংকর নাশকতার পিছনে ছিল এলটিটিই প্রধান প্রভাকরণ৷ ২০০৯-তে যাকে হত্যা করে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ