সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছিল, পড়ে যাচ্ছিল মাথার চুল। চিকিৎসকের পরামর্শ থেকে ওষুধ খাওয়া সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। শেষমেশ তাই আত্মহননের পথই বেছে নিলেন ২৭ বছরের ইঞ্জিনিয়ার।
[ভীমা কোরেগাঁও সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র মহারাষ্ট্র, বনধের ডাক দলিতদের]
ঘটনা মাদুরাইয়ের। জয়হিন্দুপুরমের আর মিঠুন রাজ বেঙ্গালুরুর একটি নামী সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পুলিশ জানাচ্ছেন, তাঁর ত্বকের রোগ থাকায় স্কাল্প থেকে দ্রুত ঝরে পড়ছিল চুল। সবরকমভাবেই নিজের সাধের চুল রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন মিঠুন রাজ। কিন্তু লাভ হয়নি। বাবা রবি অনেক বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তাই মা বাসন্তী দেবীর সঙ্গেই দুঃখ ভাগ করে নিতেন মিঠুন। মা তাঁকে সান্ত্বনা দিতেন এই বলে যে খুব তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব আর তাঁর কানে ঢোকেনি। গত এক সপ্তাহে আরও বেশি ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। রবিবার বাসন্তী দেবী মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকেই বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন মিঠুন। বাড়ি ফিরে ছেলের এই হাল দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন মা। স্থানীয়রা মিঠুনকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[দেশ জুড়ে ডাক্তারদের প্রতিবাদ, মেডিক্যাল বিলে পিছু হটল কেন্দ্র]
ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চেন্নাইয়ের ইনফোসিসে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন যুবক। সেখানে কয়েক বছর থাকার পর গত বছর বেঙ্গালুরুতে চলে যান। যোগ দেন আইটি কোম্পানিতে। সামনে পড়েছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কিন্তু এক অদ্ভুত হতাশায় মাঝ পথেই তাল কাটল। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাসন্তী দেবী। তার ভিত্তিতেই পুলিশ খতিয়ে দেখছেন আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল কিনা।