Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলওয়ামা ট্রেলার মাত্র, গোয়েন্দা রিপোর্টে হাড়হিম করা সতর্কবার্তা  

আরও মারাত্মক হামলার ছক কষছে জইশ!

Terrorist planning another Pulwama: Intel

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 21, 2019 2:23 pm
  • Updated:February 21, 2019 2:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামা নস্যি, আরও মারাত্মক হামলার ছক কষছে জইশ। এমনটাই হাড়হিম করা সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে থাকা জইশ জঙ্গিদের মধ্যে ফোনালাপে ফাঁস হয়েছে এই খবর, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের। 

[পুলওয়ামার বদলা! জয়পুরের জেলে পিটিয়ে মারা হল পাকিস্তানি বন্দিকে]

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই কাশ্মীরে সন্দেহজনক ফোনালাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কথোপকথন রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছেন গোয়েন্দারা। ফেব্রুয়ারির ১৬ ও ১৭ তারিখে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি সংগঠনটির চাঁইদের সঙ্গে ফোন কথা হয় কাশ্মীরে সক্রিয় জইশ জঙ্গিদের একাংশের।সেই বার্তা টেপ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এবার জম্মু-সহ ভারতের অন্য রাজ্যে আত্মঘাতী হামলা চালানোর ছক কষছে জেহাদিরা। পাশাপাশি, পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ফোনে কাশ্মীরী জঙ্গিদের অভিনন্দন জানিয়েছে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি নেতারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালাতে পন্থা বদল করেছে জইশ। এবার থেকে অনুপ্রবেশকারী নয়, সেনার কনভয়ে হামলা চালানো হবে কাশ্মীরী যুবকদের দিয়ে। তাই বৃহৎ পরিমাণে মৌলবাদের সমর্থক যুবকদের দলে টানার চেষ্টা করছে জইশ। স্থানীয় হওয়ায় এলাকাই যথেষ্ট কার্যকর এই ‘হোম গ্রোন’ জঙ্গিরা। এছাড়াও এভাবে সন্ত্রাসবাদকে কাশ্মীরী স্বাধীনতার লড়াই বলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চালানোর সুযোগ পাবে পাকিস্তান।                                    

Advertisement

এদিকে, পুলওয়ামার অপরাধী কে বা করা? এনিয়ে চলছে চুলচেরা তদন্ত। পরতে পরতে রহস্যের জট খুলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বিশ্লেষণ চলছে ‘ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর’ থেকে শুরু করে ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ থিওরি নিয়ে। তবে কোথাও যে খামতি ছিল, তা স্পষ্ট। সূত্রের খবর, বহুদিন আগেই কষে ফেলা হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার ছক। গত ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে প্রবেশ করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশের ‘ফিদায়েঁ স্কোয়াড’। ২১ সদস্যের ওই দলে ছিল তিন আত্মঘাতী জঙ্গি। আইএসআই-এর মদতে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই দলের নেতৃত্বে ছিল সদ্য নিকেশ হওয়া জঙ্গি কামরান ওরফে আবদুল রশিদ গাজি ও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো মহম্মদ ওমর। জঙ্গি আফজল গুরু ও আজহারের আরেক ভাইপো উসমান হায়দারের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার নির্দেশ ছিল তাদের উপর। পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার ওই দলেরই সদস্য ছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারির হামলার জন্য তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। বাকি দুই ফিদায়েঁ জঙ্গির উপর দেশের অন্য জায়গায় হামলা চালানোর নির্দেশ ছিল। সব মিলিয়ে এখনও কাশ্মীরে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

[‘যুদ্ধ শুরু করেছে পাকিস্তান, শেষ করব আমরা’, মন্তব্য প্রাক্তন সেনাকর্তার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ