Advertisement
Advertisement
জয় শ্রীরাম

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম ক্যাব চালককে মারধর, গ্রেপ্তার তিন

প্রাণে বাঁচলেও গোটা ঘটনায় এখনও আতঙ্কে যুবক৷

Thane taxi driver thrashed for not chanting 'Jai Shri Ram'
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 28, 2019 11:15 am
  • Updated:June 28, 2019 11:15 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে এক মুসলিম যুবককে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করা হয় তাঁকে৷ একটানা ১৮ ঘণ্টা অত্যাচারের জেরে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সি ওই যুবকের মৃত্যু হয়৷ তার আগে অসমেও প্রায় ঘটে একই ঘটনা৷ এবার ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের থানে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থানের ডিভা এলাকায় ২৫ বছরের এক মুসলিম ক্যাব চালককে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে জোর করে তিনজন৷ তারপরই তাঁকে মারধর করা হয়৷ ঘটনায় গত মঙ্গলবারই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তরা আগাসন গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ অভিযুক্তদের আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা! মুসলিমদের কবরস্থান গড়তে জমি দান হিন্দু গ্রামবাসীদের]

২৫ বছরের ফৈজল উসমান খান জানান, গত বছর ডিসেম্বর থেকে তিনি একটি ক্যাব সংস্থায় চালকের কাজ করছেন৷ গত সোমবার ভোর রাত তিনটে নাগাদ ডিভার এক হাসপাতাল থেকে যাত্রী নিয়ে মুম্বইয়ের দিকে আসছিলেন তিনি৷ তখনই তাঁর গাড়িটি খারাপ হয়৷ ফৈজল বলেন, “পার্কিং লাইট জ্বেলে গাড়িটা স্টার্ট করার চেষ্টা করছিলাম৷ ঠিক সেই সময়ই স্কুটারে চেপে পিছনে এসে দাঁড়ায় তিন যুবক৷ তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল৷ কাচে ধাক্কা মেরে বারবার জিজ্ঞেস করছিল, কেন রাস্তার মাঝে আমি গাড়ি দাঁড় করিয়েছি৷” এরপরই জোর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে টেনে বের করে আনে তারা বলে অভিযোগ৷ এক যাত্রী বিরক্ত হয়ে অভিযুক্তদের গালিগালাজ করতে থাকলেও তাতে কাজ হয়নি৷ অভিযুক্ত তিনজন চালকের ধর্ম তুলে কটূক্তি করতে থাকে৷ এমনকী তাঁকে জয় শ্রীরাম বলতে জোর করা হয়৷ বলা হয়, এই স্লোগান দিলে তবেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ এরপর ওই যাত্রী পুলিশকে ফোন করলে চালকের ফোন নিয়ে চম্পট দেয় তিনজন৷

Advertisement

পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ফৈজল জানান, তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে মারধরও করা হয়৷ তিনি ‘আল্লা’ বলে চিৎকার করাতেই মার খেতে হয়৷ তবে বুদ্ধি করে স্কুটারের নম্বর লিখে রেখেছিলেন ফৈজল৷ সেই সূত্র ধরেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ থানে পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানসালকর বলেন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে৷ তবে গোটা ঘটনায় এখনও আতঙ্কে রয়েছেন ফৈজল৷

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে নীরব মোদি, সুইস ব্যাংকের ৪টি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল ইডি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ