Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh PM Sheikh Hasina

সীমান্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নয়, হাসিনার ভারত সফর নিয়ে জানাল বিদেশমন্ত্রক

দ্রৌপদী মুর্মু, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

There is no schedule of meeting Bangladesh PM Sheikh Hasina with Chied Ministers of border states during her upcoming India visit | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 2, 2022 9:00 am
  • Updated:September 2, 2022 9:10 am

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামী সোমবার চারদিনের সফরে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। একাধিক গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনার সম্ভাবনা। তবে এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সব রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) হাসিনার এই সফরে দিল্লির তরফে আমন্ত্রণ না জানানো হতে পারে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত নবান্নে এই সংক্রান্ত কোনও ডাক এসে পৌঁছয়নি।

পাঁচ রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং মিজোরামের সঙ্গে সীমান্তভাগ রয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার ভারত (India) সফরে সময়ে এই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আলোচনা হয়েছিল সীমান্ত সমস্যা নিয়ে। তবে এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও কর্মসূচি নেই বলেই বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলা চোর সিপিএম! বর্ধমানে আইন অমান্য আন্দোলনে সিপিএমের দোকান লুট নিয়ে মিমের বন্যা]

এদিন বিদেশ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই শেখ হাসিনার আসন্ন সফরসূচির কথা ঘোষণা করেন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তার পাশাপাশি হাসিনা দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন এবারের সফরে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর – চারদিনের ভারত সফরে আজমেঢ় শরিফে যাবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘জামিন না দেওয়ার কোনও কারণ নেই’, তিস্তা শেতলবাদ মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের]

হাসিনার সফরসূচি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, যেহেতু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মধ্যে এবার অগ্রাধিকার পেতে চলেছে নদীর (River) জলবণ্টনের বিষয়টি, বিশেষত তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি, তাই আলোচনার টেবিলে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক নদী, যাদের প্রবাহ দু-দেশের মধ্যেই, সেই নদীগুলির জলবণ্টনও হতে পারে আলোচ্য বিষয়। আর তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি জরুরি। কূটনৈতিক আলোচনা ছাড়াও মমতা ও হাসিনার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক হওয়ায় মনে করা হয়েছিল, হাসিনার সফরে তাঁদের সাক্ষাৎ হবে। শেখ হাসিনা নিজেও একবার ‘ছোট বোন’ মমতার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সফরের তিনদিন আগেও দিল্লির ডাক পাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আসলে যেহেতু সীমান্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এবার আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সূচি নেই, তাই মমতার সঙ্গেও তাঁর দেখা হওয়া এখনও পর্যন্ত সম্ভব নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ