সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশরথ মাঝির গল্প আজ সবার জানা। নিজের চেষ্টায় পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেছিলেন তিনি। সেলুলয়েডের দৌলতে সে কাহিনি সকলের সামনে এসেছে। শ্যাম লালের গল্প এখনও সিনেমা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাতে পারে তাঁর কাহিনি। একা হাতে প্রায় ২৭ বছরের চেষ্টায় আস্ত একটা পুকুর খুঁড়ে ফেলেছেন তিনি।
[ রাম রহিমের গুন্ডাদের তাণ্ডব রুখে দেশবাসীর কুর্নিশ কুড়োচ্ছেন ইনি ]
ঘটনা ছত্তিশগঢ়ের করিয়া জেলার। তখন শ্যাম লাল কিশোর। গ্রামে তীব্র জলকষ্ট। কিন্তু জল পাওয়ার কোনও উপায় নেই। একটাও পুকুর নেই কোথাও। সকলেই এ নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন। অন্য কোথাও থেকে জলের ব্যবস্থা করতেন। এভাবেই চলছিল। কিন্তু এক কিশোর সেদিন কিছুতেই এ পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেনি। শপথ করে গ্রামে একটি পুকুর তিনি খুঁড়বেনই। কিন্তু অন্য কোনও লোক তেমন আগ্রহী নয়। উদাসীনতা ছিল সরকারেরও। ফলত গ্রামে যে পুকুর খোঁড়া সম্ভব হবে এমনটা ভাবতেও পারেননি কেউ। কিন্তু স্বপ্ন না দেখলে তা সত্যি হবে কী করে! সেদিনই তাই একটা পুকুরেরই স্বপ্ন দেখেছিল কিশোর শ্যাম লাল। গ্রামেরই একটা ফাঁকা জায়গা দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, এখানে জল মিলতে পারে। শুরু হল পুকুর খোঁড়ার কাজ। একা হাতে। নিজেই খুঁড়ত সে। সে সময় অনেকেই তাকে বিশ্বাস করতে পারেননি। একটা মানুষ একার চেষ্টায় যে আস্ত একটা পুকুর খুঁড়তে পারেন, এমনটা ভাবতে পারেননি কেউই। কিন্তু যিনি পারেন তিনি পারেনই। আর তাই পেরেছেন শ্যাম লাল। ২৭ বছরের চেষ্টায় পুকুর খোঁড়ার কাজ শেষ হযেছে। এখন সেখানে টলটল করছে জল।
[ ডায়নার ‘নিঃসঙ্গ’ আত্মার সঙ্গে কথা বলেন, চাঞ্চল্যকর দাবি মনোবিদের ]
তিনি যখন একার হাতে কাজ করছিলেন তখন কেউ এগিয়ে আসেননি। না সরকার, না সাধারণ মানুষ কারওরই মন টলেনি। কেউ সামান্যতম সাহায্যও করেনি। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলেছে। স্থানীয় বিধায়ক শ্যাম বিহারি জয়সওয়াল ঘুরে এসেছেন। দেখে এসেছেন শ্যাম লালের কৃতিত্ব। আর পুরস্কার দিয়েছেন দশ হাজার টাকা। কিন্তু পুরস্কারে কী যায় আসে! যে কাজ শ্যাম লাল করেছেন, তা রুপোলি পর্দার গল্পকেও যে হার মানায়, এমনটাই বলছে দেশবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.