সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোর উৎসব দীপাবলিতে জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বারাণসীর মুসলিম মহিলারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম মহিলারা দিওয়ালি উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন। পরনে বোরখা। কিন্তু হাতে প্রদীপ নিয়ে ভগবান শ্রীরামের ছবির সামনে দীপ জ্বালিয়ে আরতি করেন তাঁরা। কিন্তু ঐক্যের বার্তা দেওয়া তো খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই শ্রীরামের আরতি করে মৌলবাদিদের রোষের মুখে পড়তে হল ওই মহিলাদের। শনিবার তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল মুসলিম কট্টরপন্থী দারুল উলুম দেওবান্দ।
দারুল উলুম সাফ জানিয়ে দেয়, যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও দিওয়ালিতে আরতি করেছেন তাঁদের আর ‘মুসলিম’ বলে গণ্য করা হবে না। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক মৌলবাদি জানান, যে ব্যক্তি বা মহিলা আল্লা ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের ঈশ্বরের পুজোয় শামিল হবেন, তাঁদের আর মুসলিম বলে মেনে নেওয়া হবে না। বারাণসীতে সাম্প্রদায়িক ঐক্যের মেলবন্ধন ঘটনাতেই মুসলিম ফাউন্ডেশন এবং বিশাল ভারত সংস্থান যৌথভাবে দিওয়ালি উপলক্ষে শ্রীরামের আরতির আয়োজন করেছিল। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ঐক্যের বার্তা দিয়ে গ্রুপ নেতা নাজনিন আনসারি বলেছিলেন, “শ্রীরামচন্দ্র আমাদের পূর্বপুরুষ। আমরা নাম বা ধর্ম বদলাতে পারি, কিন্তু নিজেদের পূর্বপুরুষকে তো অস্বীকার করতে পারি না। তাই হিন্দু ও মুসলিম একসঙ্গে শ্রীরামের আরাধনা দুই ধর্মের যেমন বিভেদ মেটায়, তেমনই ইসলামের মাহাত্ম্যকেও উজ্জ্বল করে।”
If anyone worships any god except Allah they don’t remain Muslim-Ulema,Darul Uloom on Muslim women who performed aarti on Diwali in Varanasi pic.twitter.com/IgaLNcenGo
— ANI UP (@ANINewsUP) October 21, 2017
যদিও এটাই প্রথমবার নয়। চলতি মাসে আরও দুটি ফতোয়া জারি করেছিলেন দারুল উলুম। ঘোষণা করেন, মুসলিম মহিলারা পার্লারে হেয়ার কাট বা ভ্রু প্লাক করতে পারবেন না। পাশাপাশি তাঁর নিদান, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কোনও মহিলা নিজের এবং পরিবারের ছবি পোস্ট করতে পারবেন না। এসবই নাকি ইসলাম বিরোধী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.