সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন। এই ঘটনা ঘিরে ক্রমেই সংসদের ভিতরে ও বাইরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জেরেই কয়েকজন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বলে একই সুরে অভিযোগ করছিল বিরোধী দলগুলি। কার্যত সেই চাপের মুখে ওই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকী তিন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন : বুলবুলের পর এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র, ৪১৫ কোটির তথ্য মিথ্যে বলে দাবি চন্দ্রিমা]
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধেয় রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে এসপিজি নিরাপত্তা সংশোধনী বিল, ২০১৯ পাশ হয়ে যায়। নয়া বিলের বিরোধিতায় কংগ্রেস সাংসদরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার, সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন। সেই অনুযায়ী গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে ওই যুবক-যুবতীরা ঢুকে পড়েছিলেন। এই ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।
[আরও পড়ুন :এটিএম জালিয়াতির জন্য দায়ী কেন্দ্রের আধার লিংক, বিধানসভায় তোপ ফিরহাদের]
এদিন রাজ্যসভায় এই বিতর্ক চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “প্রিয়াঙ্কার (গান্ধী) নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন, কালো গাড়িতে চেপে তাঁর ভাই রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। উত্তরপ্রদেশের মীরাটেও কংগ্রেস কর্মীরাও কালো গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন। তাই নিরাপত্তাকর্মীরা বুঝতে পারেননি।” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “প্রিয়াঙ্কা এই বিষয়টি নিয়ে হইচই না করে আমাকে চিঠি লিখতে পারতেন। কিংবা নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। বদলে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন।”
[আরও পড়ুন :মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে লরিতে তুলে চম্পট, তাড়া করে ধরল পুলিশ]
এদিন বিরোধীরা এক সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পালটা কেরলে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি এক পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। অমিত শাহ জানান, কেরলে ১২০ জন বিজেপি ও আরএসএস কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।