সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ বিকেল পাঁচটায় সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সব ঠিক থাকলে আজ বিকেল পাঁচটা থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে নির্বাচনী বিধি। কিন্তু, এখানেই আপত্তি দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু নেতার। কারণ, যে সময়টাকে নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে, জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সেই সময়টিকে বলা হয় রাহুকাল। যা কিনা, কোনও শুভ কাজ শুরু করার জন্য মোটেই ভাল সময় নয়। প্রকাশ্যে কেউ অভিযোগ না জানালেও, দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু নেতা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন যদি ভোট ঘোষণার সময় পিছিয়ে বা এগিয়ে দেয় তাহলে অশান্তি এড়ানো যাবে।
[লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা আজই! কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক ঘিরে জল্পনা]
কিন্তু, এই রাহুকালটা কী? জ্যোতিষীদের মতে, প্রত্যেক দিন কমবেশি ৯০ মিনিট সময়কে রাহুকাল বলা হয়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আশেপাশের এই ৯০ মিনিট সময়কালে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। রবিবার বিকেল ৪টে ৪৩ মিনিট থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সময় এই রাহুকালের অন্তর্গত। তাই এই সময় ভোট ঘোষণা না করাই ভাল বলে মনে করছেন দক্ষিণ ভারতের একাধিক নেতা। এ বিষয়ে উল্লেখ করা যেতে পারে, দাক্ষিণাত্যের অধিকাংশ নেতাই জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী। এদের মধ্যে অগ্রণী তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়, এবং সমস্ত সরকারি কর্মসূচির সূচনা তিনি জ্যোতিষীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই নির্ধারণ করেন। এর আগে কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা প্যাটেলও বিধানসভা নির্বাচনের পর ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছিলেন এই রাহুকাল অতিক্রম করার পরই। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সন্ধে ৭ টা ২৭ মিনিটে। সেটিও জ্যোতিষীর পরামর্শে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াও সমস্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ করে নেন।
[সেনার পরাক্রমকে ঢাল করে ভোট প্রচার নয়, নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের]
উল্লেখ্য, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে আজই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ রবিবারই ঘোষণা করা হবে ভোটের নির্ঘণ্ট। কমিশনের তরফে বিকেল পাঁচটায় সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই ঘোষিত হবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট। লোকসভার পাশাপাশি, চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণও আজই ঘোষণা হতে পারে। লোকসভার সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হতে পারে। জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটও একই সঙ্গে হওয়ার সম্ভাবনা।