Advertisement
Advertisement

Breaking News

উন্নয়ন খাতে খরচের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূল সাংসদরাই, অনেক পিছিয়ে বিজেপি

কেন পিছিয়ে বিরোধীরা?

TMC tops MP fund spending chart
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 1, 2018 6:54 pm
  • Updated:September 1, 2018 6:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  সাংসদ নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যের বিরোধী সাংসদদের কয়েক গোল দিলেন তৃণমূল সাংসদরা। এমপি-ল্যাডের টাকা খরচের নিরিখে বিরোধীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে তৃণমূল সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সদানন্দ গৌড়ার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে এরাজ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাই। সবচেয়ে পিছনে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দার সিং আলুওয়ালিয়া।

[মাত্র ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে প্রাণে বাঁচেন রাহুল!]

প্রত্যেক সাংসদকে নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন খাতে ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। শনিবার সংসদে সাংসদের কাজ পর্যালোচনার বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া। সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলী। মোট বরাদ্দ অর্থের ৯৩.১৩ শতাংশ টাকা খরচ করেছেন ইদ্রিশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বারাসত এলাকার তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দোস্তিদার। কাকলী মোট বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৯২ শতাংশ টাকাই খরচ করে ফেলেছেন। নিজের এলাকায় অনুপস্থিত থাকা নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠে সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যা রায় কিন্তু অন্য সাংসদদের পিছনে ফেলে রাজ্যে এমপি-ল্যাডের টাকা খরচের নিরিখে তৃতীয় স্থানে সন্ধ্যা রায়। তিনি খরচ করেছেন ৯০.৯৫ শতাংশ টাকা। সাংসদ দশরথ তিরকের খরচের পরিমাণও ৯০ শতাংশের উপরে। দীর্ঘদিন জেলে থাকা এবং অসুস্থতার জন্য নিজের এলাকায় অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ভাল অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল। তৃণমূলের তরফে সবচেয়ে কম খরচ করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংসদ উমা সোরেন।

Advertisement

[নোটবন্দির সিদ্ধান্ত জানতেন না অর্থমন্ত্রী জেটলি, বিস্ফোরক চিদম্বরম]

রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার। মোট বরাদ্দ অর্থের ৫০ শতাংশ টাকাও খরচ করেননি তিনি। বাম ও কংগ্রেস সাংসদরা তাঁর থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও তৃণমূলের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে।যদিও বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন, এবং তৃণমূলের দখলে থাকা স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা যেমন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভা, জেলা পরিষদ এসবের অসহযোগিতার জন্যই তাঁরা উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও মিলছে না সংশাপত্র। তাই, এই পরিসংখ্যান বাস্তব ছবিটা দেখাচ্ছে না।  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ