Advertisement
Advertisement

রাজ্যপালের আজব ফরমানে রাজভবনে নিষিদ্ধ আমিষ পদ!

জানেন কোন রাজ্যে ঘটেছে এই ঘটনা?

TN Governor says no to non-veg foods in governor house
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 20, 2017 2:15 pm
  • Updated:September 23, 2019 1:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  অক্টোবরে রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু, গত এক মাসে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের নানা পদক্ষেপে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের শাল ও ফুলে তোড়া উপহার না দেওয়ার আবেদন তো আগেই জানিয়েছিলেন। এবার তামিলনাড়ু রাজ্যপালের নয়া ফরমান, রাজভবন ও লাগোয়া বাংলোগুলিতে কোনও আমিষ পদ রান্না বা খাওয়া যাবে না। যদি কেউ আমিষ পদ খেতে চান, তাহলে রাজভবন চত্বরের বাইরে গিয়ে খেতে হবে।

[রাস্তাতেই শৌচকর্ম মন্ত্রীর, প্রশ্নের মুখে মোদির ‘স্বচ্ছ ভারত’]

Advertisement

রাজভবনের ভিতরে নানা নিয়ম চালু করেছেন। আবার রাজভবনের বাইরে তাঁর  কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দিন কয়েক আগে বিজেপি শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত কোয়েম্বাটুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তিরুপুরে শহরে গিয়ে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পকে জনপ্রিয় করতে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিত নিজেই ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন। রাজ্যপালের এহেন কার্যকলাপের প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রেক্ষাপটে ফের তামিলনাড়ুর রাজভবনে নয়া ফরমান জারি করলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজভবন ও লাগোয়া বাংলোগুলিতে কোনও আমিষ পদ রান্না করা বা খাওয়া যাবে না। রাজভবনের কর্মী-সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যদি আমিষ খেতে চান, তাহলে রাজভবন চত্বরের বাইরে্ গিয়ে খেতে পারেন।

[রাহুলই হচ্ছেন পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি, কর্মসমিতির বৈঠকে সিলমোহর]

তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের এই ফরমানে হতবাক রাজভবনের পুরানো কর্মীরা। সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি তাঁরা। তবে ঘরোয়া আলোচনায় অনেকেই বলছেন, পদাধিকার বলেই রাজভবনে থাকেন রাজ্যপাল। রাজভবন বা লাগোয়া বাংলোগুলি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। তাই সেখানে কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাব না, তা ঠিক করতে দেওয়া অনুচিত। প্রসঙ্গত, প্রত্যেক রাজ্যপালই তাঁদের রুচিমতো রাজভবনের অন্দরসজ্জা ও রান্নাবান্নার কিছু পরিবর্তন করে থাকেন। বস্তুত, এ রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি রাজভবনের কয়েকটি কক্ষের নাম বদলে দিয়েছেন। কিন্তু, রাজভবনকে এভাবে আমিষবর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার ঘটনা এই প্রথম।

[আস্থা মোদিতেই, বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় ভারত সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement