Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maharashtra

আন্দোলনের ফল, আদিবাসীদের জঙ্গলের পাশে বাড়ি তৈরির অনুমতি দিল মহারাষ্ট্র সরকার

এর জন্য ২০০৬ সালের বন অধিকার আইন সংশোধনও করতে হয়েছে।

Tribals in Maharashtra can now build houses near forest areas । Sangbad Pratidin
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 29, 2020 7:57 pm
  • Updated:September 29, 2020 8:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলের পাশে বাড়ি তৈরি অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। অবশেষে তার ফল মিলল। মঙ্গলবার একটি নির্দেশিকা জারি করে আদিবাসীদের জঙ্গলের পাশে বাড়ি তৈরির অনুমতি দিলেন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) -এর রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বন অধিকার আইন, ২০০৬ (Forest Rights Act, 2006) -এর সংশ্লিষ্ট ধারাতে সংশোধন এনে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্যপালের অফিস। রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshyari)’র সই করা ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, বন অধিকার আইন সংশোধন করে আদিবাসী ও দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর মানুষকে জঙ্গলের পাশে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষরা যাতে সভ্যতার যাঁতাকলে পরে নিজেদের পছন্দ মতো বাসস্থানের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন তা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন সংশোধনীর ফলে গ্রামের প্রান্তে থাকা জঙ্গলের পাশেই তাঁরা বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তফশিলি উপজাতি ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষরা প্রচণ্ড উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নতুন কৃষি আইন কৃষকদের বুকে বিঁধে যাওয়া ছুরির মতো’, কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের ]

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের বন অধিকার আইন, ২০০৬ নিয়ে আপত্তি রয়েছে আদিবাসীদের। এর প্রতিবাদে আন্দোলনও করেছেন তাঁরা।  অসন্তোষ বাড়ছে অনুভব করে কয়েকমাস আগে মহারাষ্ট্রের পালঘর ( Palghar), নান্দুরবার (Nandurbar), গড়চিরোলি (Gadchiroli)-সহ আদিবাসী অধ্যূষিত জেলাগুলিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। সেখানে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তফশিলি উপজাতি ও বনবাসী মানুষরা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ অনুসন্ধান করে তিনি জানতে পারেন, ওই পরিবারগুলির সদস্য সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, এদিকে গ্রামে জমি না থাকলেও সরকারি আইন অনুযায়ী জঙ্গলের পাশে বাড়ি করা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে ওই পরিবারগুলি অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

Advertisement

ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করে ফিরে আসার পর গত মে মাসে একটি নোটিস জারি করেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, বন অধিকার আইনের অধীনে তৈরি হওয়া জেলা কমিটিগুলি আদিবাসী ও জনগোষ্ঠীগুলির জঙ্গল সংক্রান্ত বিষয়ে যে সমস্ত অধিকার খারিজ করেছে। তার বিরুদ্ধে আবেদন জানানো যাবে।

[আরও পড়ুন: নারী নিরাপত্তার চিহ্নমাত্র নেই উত্তরপ্রদেশে! হাথরাসের নির্যাতিতার মৃত্যুতে সরব প্রিয়াঙ্কা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ