সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন উলট পূরাণ। লোকসভার আগে ত্রিপুরায় শাসক দল বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। দল ছাড়লেন রাজ্য সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক। একসময় কংগ্রেসেরই সদস্য ছিলেন সুবল। ২০১৪ সালে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সুবল। কিন্তু এবার দলের নেতৃত্বের উপর অভিমান থেকেই দল ছাড়ছেন এই নেতা। যোগ দিচ্ছেন পুরনো দল কংগ্রেসে। তাঁর সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন প্রদেশ বিজেপির আরও দুই নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস এবং ‘বাহুবলী’ নেতা দেবাশিস সেন।
গত একবছরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে অভাবনীয় পটপরিবর্তন হয়েছে। একের পর এক কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তবে, রাহুল গান্ধী ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মাকে দলের রাজ্য সভাপতি করার পর ছবিটা কিছুটা হলেও বদলাচ্ছে। গত এক মাসে বিভিন্ন দল থেকে অন্তত হাফ ডজন হেভিয়েট নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন সুবল ভৌমিক এবং তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়া দুই নেতা। সুবলের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মূল কারণ, রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভকেই মনে করা হচ্ছে। ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অনেক হয়েছে আর না। আমি দলের উপর বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। আমি প্রার্থী হলে নাকি সরকার পড়ে যাবে। আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি।” ২০ তারিখ রাহুল গান্ধীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেবেন তিনি। বুধবারই ত্রিপুরায় প্রচারে যাচ্ছেন রাহুল। সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই ত্রিপুরার কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে যোগদান নিয়ে আলোচনা করেছেন সুবল। তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা ওয়েস্ট আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন সুবল।
[উত্তরপ্রদেশের সাফল্য নিয়ে যোগীর দাবি মিথ্যে, মন্তব্য প্রিয়াঙ্কার]
এ মাসের গোড়ার দিকেই দলে ফিরেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ। প্রায় বছরখানেক নিষ্ক্রিয় থাকার পর প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্যর নেতৃত্বে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরেন সমীরবাবু। উল্লেখ্য, সমীর রঞ্জন বর্মণের ছেলে সুদীপ রায় বর্মণ এখন ত্রিপুরার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.